আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া শুরু করর অঙ্গ হিসেবে অভিযুক্তদের তদন্ত রিপোর্টের প্রতিলিপি এবং নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো পেনড্রাইভে ভরে দেওয়ার জন্য এ দিন অভিযুক্তদের হাজির হতে বলা হয়েছিল।
ফাইল চিত্র।
নারদ কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মদন মিত্র ও পুলিশকর্তা এসএমএইচ মির্জা অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির হলেন না। বুধবার তাঁদের সঙ্গে ওই মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম, প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়েরও হাজিরা ছিল। তাঁরা হাজিরও হন। কিন্তু এ দিন তাঁদের মামলার নথি দেওয়া যায়নি। কারণ, ইতিমধ্যে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁদের সকলে আদালতে উপস্থিত না-থাকলে নথিপত্র বা তদন্ত রিপোর্টের প্রতিলিপি দেওয়া যায় না বলে জানাচ্ছে আইনজীবী শিবির।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া শুরু করর অঙ্গ হিসেবে অভিযুক্তদের তদন্ত রিপোর্টের প্রতিলিপি এবং নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো পেনড্রাইভে ভরে দেওয়ার জন্য এ দিন অভিযুক্তদের হাজির হতে বলা হয়েছিল। মদনবাবু ও পুলিশকর্তা মির্জার মেডিক্যাল রিপোর্ট সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারকের এজলাসে পেশ করা হয়। সব অভিযুক্ত হাজির না-থাকায় তদন্তকারী সংস্থার তরফে তদন্ত রিপোর্ট ও পেনড্রাইভ দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে আদালত সূত্রের খবর। ৩০ এপ্রিল সব অভিযুক্তকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক সৈয়দ মাসুক হোসেন।
ইডি-র আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র এ দিন বলেন, ‘‘একের পর এক তারিখ পড়ছে। অভিযুক্তদের মামলার নথি দেওয়া যাচ্ছে না। পারিপার্শ্বিক কারণে বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে।’’
এই মামলায় জড়িত সন্দেহে মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁদের মধ্যে ফিরহাদ, শোভনবাবু, মদনবাবু, মির্জা ছাড়াও ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মৃত্যুর পরে সুব্রতবাবুর নাম মামলা থেকে যথারীতি বাদ গিয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের যে-হেতু গ্রেফতার করা হয়নি, তাই তাঁদের এখন মামলার নথিপত্র দেওয়া হবে না বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে।