ভাইকে খুনের অভিযোগে ধৃত দাদা। প্রতীকী চিত্র।
গলাকাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে ভাই। পাশে নির্বিকার দাদা। তদন্তকারীদের সন্দেহ শুরু তখন থেকে। দাদার অসংলগ্ন কথাবার্তা সন্দেহ বাড়িয়ে দিয়েছিল আরও। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি পেয়ে দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের পর ভেঙে পড়েন দাদা। তিনি ভাইকে খুনের কথা ‘কবুল’ করেছেন বলেও পুলিশের দাবি। সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে অসন্তোষের জেরে দাদা ভাইকে খুন করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের। এই ঘটনা মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ থানার ধুলিয়ান পুরসভার।
শুক্রবার সকালে ধুলিয়ান পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মন্তাজ আলি মোমিনের নলিকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছিল দোতলা বাড়ির ছাদ থেকে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় শমসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মন্তাজের হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করল পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, পৈতৃক সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে ছোট ভাই মন্তাজের সঙ্গে মন কষাকষি চলছিল তাঁর দাদা হজরত আলির। পুলিশের দাবি, জেরায় হজরত জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে দোতলার ঘরে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন দু’টি ছুরিও। মন্তাজের সঙ্গে বচসার সময় ছুরি নিয়ে তাঁর উপর পর পর আক্রমণ করেন হজরত। এর পর মন্তাজকে পাঁজাকোলা করে ছাদে তুলে নিয়ে যান হজরত। এর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরি দিয়ে ভাইয়ের গলার নলি কেটে দেন তিনি। তদন্তকারীদের দাবি এমনটাই। পুলিশের দাবি, এর পর রক্তমাখা জামাকাপড় লুকিয়ে, হাত-পা ধুয়ে শুয়ে পড়েন হজরত। পর দিন দোতলার ছাদ থেকে উদ্ধার হয় মন্তাজের দেহ।
এ নিয়ে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার ভিজি সতীশ বলেন, ‘‘তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে পুলিশ। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি সব রহস্যের উদ্ঘাটিত হবে।’’