খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যে যুবকের বাবা গোপাল ঘোষ ও দাদা প্রদীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছবি: প্রতীকী
মারধরের জেরে প্রাণ গেল যুবকের! তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, মৃতের বাবা এবং দাদা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যে যুবকের বাবা গোপাল ঘোষ ও দাদা প্রদীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাকে আটক করে জেরা করছে পুলিশ। মায়ের দাবি, টাকা চুরি করেছিলেন ছোট ছেলে। নদিয়ার রানাঘাট পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সড়কপাড়ার ঘটনা।
মৃতের নাম চন্দন ঘোষ বয়স (৩৮)। রবিবার রাতে ভাড়াবাড়ি থেকে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন চন্দন। ঘটনার দিন, অর্থাৎ রবিবার নিজের পৈতৃক বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। রানাঘাট ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কৃপাময়ী তলায় থাকেন তাঁর বাবা, মা, দাদা। অভিযোগ, সেখানে পরিবারের অন্য সদস্যের সঙ্গে বচসা বাঁধে চন্দনের। সে সময় চন্দনকে তাঁর বাবা এবং দাদা বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। বিকেল নাগাদ অসুস্থ অবস্থায় ভাড়া বাড়িতে ফিরে আসেন চন্দন। রাত ৯টা নাগাদ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে রানাঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চন্দনের দেহ উদ্ধার করে।
চন্দনের স্ত্রী মুনমুন ঘোষ আঙুল তুলেছেন তাঁর বাবা ও দাদার দিকে। তিনি বলেন, ‘‘বাড়ির অন্য লোক জন আগেই বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছিলেন। ওখানে গিয়ে কী হয়েছে, বলতে পারব না। তবে ওঁরা চাননি চন্দন বেঁচে থাকুন। তাই খুন করেছেন ওঁকে।’’
চন্দনের মা লক্ষ্মী ঘোষ বলেন, ‘‘বাক্স ভেঙে ওঁর বাবার সাড়ে তিন হাজার টাকা চুরি করেছিল চন্দন। তা ধরতে পেরেই ওঁর দাদা এবং বাবা ওকে মারধর করে। তা বলে ও মরে যাবে, কেউ বুঝতে পারেননি।’’ সত্যিই টাকার জন্য খুন হয়েছেন চন্দন, নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কে কান্নান বলেন, ‘‘অন্য একটি কাজে কল্যাণীতে রয়েছি, দফতরে ফিরে খোঁজ নেব।’’