টানা ৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর শনিবার উদ্ধার হল দশরথ দাসের দেহ। প্রতীকী ছবি।
গত পাঁচ দিন ধরে গোটা পরিবারের কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারেননি আত্মীয়-পরিজন। দায়ের হয় নিখোঁজ ডায়েরিও। গোপন সূত্র মারফত পুলিশ খবর পায়, বাড়ির গৃহকর্তাকে মেরে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। সেই মতো বাড়ির আশপাশে মাটি খুঁড়ে খোজাখুজিও করা হয়। কিন্তু কারও দেহ মেলেনি। এই তল্লাশি অভিযানের মধ্যে থানায় গিয়ে হাজির হন স্ত্রী ও তাঁর তাঁর এক মেয়ে। পুলিশের কাছে স্ত্রী দাবি করেন, তিনিই স্বামীকে খুন করে ঘরের ভিতর পুঁতে দিয়েছেন! এর পর তাঁর দেখানো জায়গা খুঁড়ে উদ্ধার হল সেই গৃহকর্তার দেহ।
মুর্শিদাবাদের সুতি থানার পঞ্চবাটি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। টানা পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর শনিবার উদ্ধার হল দশরথ দাসের দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে সুতি থানায় আত্মসমর্পণ করেন দশরথের স্ত্রী সুভদ্রা এবং তাঁর বড় মেয়ে মোনা দাস। তাঁরা জানান, দশরথকে বাড়িতেই পুঁতে রাখা হয়েছে। এর পর স্ত্রী এবং মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ । বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীই দেখিয়ে দেন, কোথায় তাঁর স্বামীকে পুঁতে রাখা হয়েছে। পুলিশকর্মীদের তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আর একটু খুঁড়ুন। অনেকটা নীচে রয়েছে।’’ আবার কোথাও ভুল হলে তা শুধরে দিয়েছেন মেয়েরা। টানা প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় শোওয়ার ঘরের মেঝেতে ১০ ফুট খুঁড়ে দশরথের পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়।
দেহ উদ্ধার হওয়ার পরেই স্ত্রী ও মেয়েদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়দের একাংশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বামীকে খুনের কথা কবুল করেছেন স্ত্রী । জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার ভিজি সতীশ বলেন, ‘‘দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত হবে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। যাঁরা যাঁরা জড়িত, সকলকেই গ্রেফতার করা হবে।’’