বর্ধমানের দুই ব্লকে অভিষেকের প্রার্থী বাছাই ভোট স্থগিত কেন? — ফাইল ছবি।
অভিষেক রাজ্যে ঘুরে ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলে আসন্ন পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই করছেন। তৃণমূলে ‘নবজোয়ার যাত্রা’ এখন রয়েছে বর্ধমানে। কিন্তু সেই জেলাতেই দু’টি ব্লকে ভোট করানো যাচ্ছে না। কারণ, ব্লক স্তরে কমিটিই গঠন করা যায়নি। এর কারণ হিসাবে উঠে আসছে তৃণমূলে গোষ্ঠীকোন্দলের তত্ত্ব। যদিও দলীয় নেতারা তা মানতে নারাজ।
শনিবার আটটি ব্লকে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও দু’টি ব্লক, মন্তেশ্বর ও মেমারি-১ ব্লকে ভোট হচ্ছে না। তবে জামালপুর, মেমারি-২, পূর্বস্থলী-১ ও ২, কালনা-১ ও ২ ব্লকের ভোট হবে শনিবারই।
কয়েক দিন আগে পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোটদান সুষ্ঠু ভাবে করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন কাটোয়ার বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কাটোয়ার বিধায়কের বার্তা ছিল, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নবজোয়ার কর্মসূচি’কে সফল করতে হবে। পাশাপাশি শৃঙ্খলা মেনে কর্মীরা অভিষেকের সফরসূচির পথ নির্দেশিকা অনুযায়ী যেন সভায় হাজির হন, সে ব্যাপারেও স্পষ্ট নির্দেশিকা দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কারা ভোট দিতে পারবেন এবং কী ভাবে ভোট দেবেন রবীন্দ্রনাথ তা স্পষ্ট করে দেন। জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘পূর্ব বর্ধমান জেলার তিনটি অঞ্চল মেমারি-১, মন্তেশ্বর এবং আউশগ্রাম-২ ব্লককে ভোটদান থেকে বিরত রাখা হয়েছে। যাঁরা ভোট দিতে যাবেন, তাঁরা যেন দলীয় শৃঙ্খলা মেনে ভোট দিতে যান।’’ আউশগ্রাম-২ ব্লকে অবশ্য শনিবার ভোট নেই।
কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন কমিটি গড়া গেল না? জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথের দাবি, ওই তিনটি ব্লকে এখন ব্লক স্তরে কমিটি গঠন করা হয়নি। কেন কমিটি গড়া যায়নি তা অবশ্য জানাননি রবীন্দ্রনাথ। পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের কটাক্ষ, ‘‘অভিষেক আসুন বা মমতা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আর গোষ্ঠী সংঘর্ষ তৃণমূলের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। তাই দলে নবজোয়ার আনতে গিয়ে পদে পদে হোঁচট খাচ্ছেন যুবরাজ। টাকার মোচ্ছব হচ্ছে আর বাংলার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। এটাই তৃণমূল।’’
মেমারি-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘‘কী করে ভোট হবে? কারণ যে সময়ে ভোট হওয়ার কথা একই সময় মেমারিতে অভিষেকের রোড শো। সব বুথ সভাপতিরা তখন রোড শোতে থাকবেন।’’