—ফািল চিত্র।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট প্রায় নিশ্চিত হলেও মুর্শিদাবাদে তা নিয়ে আবছা এক আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। গত বিধানসভা ভোটে শাসকদলকে হারাতে জোটের পথে পা বাড়িয়েছিল বাম-কংগ্রেস। কিন্তু মুর্শিদাবাদে একসঙ্গে লড়াই হয়নি। জেলার প্রবীণ এক বামপন্থী নেতার কথায়, ‘‘বন্ধুত্বপূর্ণ আবহে লড়াই হলেও হাতে ধরা পড়েনি কাস্তে-হাতুড়ি!’’
ভোটের ফলাফল ছিল— বামফ্রন্ট ৪ কংগ্রেস ১৪। পরে অবশ্য কংগ্রেসের ৫ জন এবং বামেদের দুই বিধায়ক তৃণমূলে নাম লেখানোয় তাদের বিধায়ক সংখ্যা চার থেকে বেড়ে এগারো জন হয়ে যায়। ভাঙতে থাকে কংগ্রেস বাদ পড়েনি বামদলগুলিও। পাঁচ বছর পরে আবার সামনে নির্বাচন। কিন্তু জোটের প্রশ্নে বাম-কংগ্রেস উভয় শিবিরেরই নিচুতলার কর্মীরা কিঞ্চিৎ দোটানায়। বাম-সূত্রে জানা গিয়েছে, সিপিএম-সহ শরিক দলগুলির মেজ-সেজ নেতাদের অনেকেই এই জোট চান না বলে মত দিয়েছেন। অনীহা রয়েছে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যেও। প্রায় একই অবস্থা, কংগ্রেসেও। নেতাদের কথায় মাথা নিচু করে জোট মেনে নিলেও, মন থেকে অনেকেই যে মানতে পারছেন না, তা কংগ্রেসের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবারের ধর্মঘট সেই ‘বিরোধ’ স্পষ্ট করে দিয়েছে। কয়েকটি জায়গায় বাম-কংগ্রেস এক সঙ্গে মিছিল করলেও জেলার অধিকাংশ জায়গায় একক ভাবেই মিছিল করেছে বাম এবং কংগ্রেস। তা হলে কি আগামী বিধানসভা ভোটেও তার ছায়া পড়তে চলেছে, প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য জামির মোল্লা বলেন, “আসন ভাগাভাগি এখনও ঠিক হয়নি। তবে ধর্মনিরপেক্ষ জোটের স্বার্থে কোন আসন ওই এলাকায় শক্তিশালী দলকে ছাড়তে হতে পারে সে ক্ষেত্রে সহযোগী দলকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। তবেই উদ্দেশ্য সফল হবে।” তবে আবারও বাম কংগ্রেসের এই অবস্থানকে কোনভাবেই জোট বলতে রাজি নন বাম নেতারা।
এক জেলা নেতা বলেন, “কতগুলি কর্মসূচিতে হাঁটলাম আর জোট হয়ে গেল বিষয়টা তেমন নয়। এ ক্ষেত্রে বড়জোড় আসন ভাগাভাগি হবে।” তবে কংগ্রেস নেতা বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী আশাবাদী। তিনি বলেন, “আমার চোখে যেটুকু ধরা পড়েছে, তাতে দেখেছি বাংলা জুড়ে বাম কংগ্রেস কর্মীরা ধর্মঘটের পথে নেমেছে। কোথাও মনোমালিন্য নজড়ে পড়ে নি। সময় গেলে এই জোট পোক্ত হবে। রাজ্য থেকেই ঠিক হবে কে কোথায় কোন আসনে
লড়াই করবে।”