জীবনকৃষ্ণ সাহা। —ফাইল চিত্র।
স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে প্রাচীন কালীমন্দিরে প্রণাম করে পা রাখলেন গ্রামের মাটিতে। লাল চন্দনের তিলক, ধান, দূর্বা আর প্রদীপে বরণ করে নিলেন দলীয় কর্মীরা। পরিয়ে দেওয়া হল একের পর এক রজনীগন্ধা ও গোলাপের মালা। ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ায় প্রথমে আপত্তি জানালেও শেষে হার মানতেই হল কর্মীদের আবদারের কাছে। কামড় দিলেন কান্দির প্রসিদ্ধ রসগোল্লা ও কমলাভোগে। যাঁকে ঘিরে এত উল্লাস, তিনি সেই জীবনকৃষ্ণ সাহা। বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যিনি সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তল্লাশির সময় যাঁর বিরুদ্ধে মোবাইল বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পরে পুকুর ছেঁচে উদ্ধার হয়েছিল সেই মোবাইল।
গত বছর ১৭ এপ্রিল সিবিআইয়ের নাটকীয় তল্লাশি অভিযান শেষে গ্রেফতার হয়েছিলেন জীবন। দীর্ঘ ১৩ মাস জেলবন্দি থাকার পর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জামিনে মুক্তি পেয়ে শনিবার রাতে আন্দি গ্রামে নিজের পৈতৃক বাড়িতে ফিরলেন তৃণমূল বিধায়ক। বাড়ি পৌঁছেই জীবন বললেন, ‘‘সত্যি খুব ভাল লাগছে। গর্ব করে বলতে পারি সত্যের জয় হয়েছে। আমি ফিরে আসায় দলের কর্মীরা আনন্দিত। আমিও ভীষণ গর্ববোধ করছি।’’
আদালতের নির্দেশ নিয়ে বিধায়ক বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে, মাথা পেতে নিয়েছি। আগামী দিনে যে রায় দেবে ও বিচার হবে, সেই রায় মাথা পেতে নেব। তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব। আদালতের নির্দেশ মেনে চলব। আশা করি আমি বিচার পাব এবং সত্যের জয় হবে।’’