সুকান্ত মজুমদার। —ফাইল চিত্র।
সংবাদপত্র ও সংবাদমাধ্যমে ভোটের বিজ্ঞাপনে আপত্তিকর বয়ানের অভিযোগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে জোড়া শো-কজ় করল নির্বাচন কমিশন। আগামী ২১ মে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে শো-কজ়ের জবাব চাওয়া হয়েছে সুকান্তের থেকে।
বিজেপির বিজ্ঞাপনের বয়ান নিয়ে কমিশনে দু’টি অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই সব বিজ্ঞাপনের ছবিও কমিশনে পাঠিয়েছে তারা। একটি অভিযোগ জমা পড়েছে ১৮ মে, শনিবার। তৃণমূল যে বিজ্ঞাপনটি নিয়ে আপত্তি তুলেছে, তাতে লেখা— ‘সনাতন বিরোধী তৃণমূল’। এর আগে ৪ মে প্রথম অভিযোগ জানিয়েছিল শাসকদল। সে বার তারা যে বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি তুলেছিল, তার বয়ানে ছিল— ‘দুর্নীতির মূল তৃণমূল’। জোড়াফুল শিবিরের বক্তব্য, যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে ‘সনাতন বিরোধী’ হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে, তা নিয়মবিরুদ্ধ এবং সাধারণ মানুষের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। শুধু তা-ই নয়, রাজ্য সরকারকে যে ভাবে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে দাবি করা হচ্ছে, তা বিভ্রান্তিকর, বেঠিক এবং অবমাননামূলক বলেই মনে করছে তৃণমূল।
শাসকদলের বক্তব্য, বিজেপির এই সব বিজ্ঞাপন আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। আদর্শ আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনও দল এমন কোনও বিবৃতি দেবে না, যাতে বিভিন্ন জাতি-সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। পাশাপাশিই, কোনও রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করতে হলে তার কাজের সমালোচনা করতে হবে এবং ভুয়ো তথ্য ছড়ানো যাবে। পদ্মশিবিরের বিজ্ঞাপনে এই নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে বলেই মনে করছে তৃণমূল। তাদের দুই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিশন সুকান্তের কাছে জানতে চেয়েছে, কেন তাদের বিজ্ঞাপনকে আদর্শ আচরণবিধির লঙ্ঘন বলে মনে করা হবে না? কমিশনের দ্বিতীয় প্রশ্ন, কেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না?