প্রতীকী ছবি।
জঙ্গলে ঘেরা একটা দ্বীপ, আর সেই দ্বীপেই আস্তানা ছিল এলাকার কুখ্যাত ডাকাতদের। এলাকার মানুষের মুখে মুখে সেই দ্বীপের একটা সময় নাম হয়ে গিয়েছিল ডাকাত ঢিহি। এক সময় সেই ডাকাতদের মনস্কামনা পূর্ণ করতেই শুরু হয়েছিল কালি মায়ের আরাধনা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিহ্ন হয় ডাকাত দল। আর সেখানে ভিড় জমতে থাকে ঋষি-মুনিদের। ডাকাতদের প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে শুরু হয় নতুন করে পুজো, ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে বসতি। দ্বীপের মত এলাকায় এখন তৈরি হয়েছে রাস্তা, হয়েছে অনেক পাকা বাড়ি।
পাকা মন্দিরে এখন জলার পাশেই জাঁকজমক করে পুজো হয় প্রতিবছর। কেবল এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ নয়, এলাকার উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ ভিড় জমান সেই পুজোয়। সকলেই মানত করেন মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ার জন্য।
খাতা-কলমে ইসবপুর নাম হলেও এই ঋষি-মুনিদের সৌজন্যে ইসবপুরকে ঋষিপুর বলে ডাকা হয়। এখনও সেখানকার কালিপুজো একটু অন্য রকমের। যারা এখানে মানত করেন তাদের নামে মূল প্রতিমার পাশাপাশি গড়া হয় এক একটি প্রতিমা। এ বছরও ২২ টি প্রতিমা তৈরি হয়েছে মূল প্রতিমার পাশাপাশি।