টোটোর জটে জেরবার কৃষ্ণনগরের রাস্তা। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত এলাকার টোটো কৃষ্ণনগর শহরে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হল রাস্তা অবরোধ। বিক্ষোভ দেখালেন বেশ কয়েক জন টোটোচালক। বৃহস্পতিবার সকালে কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণী-গোডাউন এলাকায় কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ভান্ডারখোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার টোটো চালকেরা। পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে টোটো চালকদেরকে বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেন। যদিও ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে চাপানউতোর চলছে পুলিশ ও পুরসভার মধ্যে।
এর আগেও শহরের রাস্তায় টোটোর সংখ্যা কমানোর জন্য পঞ্চায়েত এলাকার টোটো শহরের ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কৃষ্ণনগর পুরসভা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের কারণে তৃণমূলের গ্রাম ব্লক নেতৃত্বের একাংশের আপত্তিতে সেই পদক্ষেপ করা থেকে পিছিয়ে আসে পুরসভা।সম্প্রতি জেলা পুলিশের তরফে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে জেলা পরিষদের সভাধিপতি থেকে শুরু করে কৃষ্ণনগর পুরসভার পুরপ্রধান-সহ শহরের সাধারণ বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় যে, শহরের রাস্তায় টোটোর সংখ্যা কমিয়ে শহরকে যানজট মুক্ত করা হবে। জরুরি কারণ ছাড়া পঞ্চায়েত এলাকার কোনও টোটো শহরের ঢুকতে দেওয়া হবে না। সেই মতো কৃষ্ণনগর শহর ও ভান্ডারখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমান্ত এলাকায় পুলিশের তরফে একটি ফ্লেক্স টাঙিয়ে দেওয়া হয়। সেই মতো পদক্ষেপ করে পুলিশ। এর পরেই পঞ্চায়েত এলাকার টোটো চালকেরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
কৃষ্ণনগর পুরসভার পুরপ্রধান তৃণমূলের রিতা দাস বলছেন, “সে দিনের সভায় একটা প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল। তার পর যে ফ্লেক্স টাঙিয়ে দিয়ে পঞ্চায়েত এলাকার টোটোকে আটকে দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমার জানা ছিল না। ফলে, এই বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না।”
তবে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার মিত কুমার বলেন, “কৃষ্ণনগর শহরকে যানজট মুক্ত করতে সকলে মিলে যৌথ ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তই বাস্তবায়িত করা হচ্ছে।”