তৃণমূল কাউন্সিলরের গাড়ি আটকে দেওয়ায় শুরু হয় গন্ডগোল। —নিজস্ব চিত্র।
রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করছিলেন তিন সিভিক ভলান্টিয়ার। যানজটে গাড়ি আটকে পড়ায় তাঁদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় স্থানীয় এক তৃণমূল কাউন্সিলরের। অভিযোগ, কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করেন কাউন্সিলর এবং তাঁর তিন সহযোগী। নদিয়ার রানাঘাট থানার মিশন গেট ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এলাকার ওই ঘটনায় কাউন্সিলর-সহ চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার তাঁদের সবাইকে আদালতে তোলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে কল্যাণী পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লক্ষ্মী ওরাওঁ, তৃণমূল কর্মী রঞ্জিৎ দাস এবং আরও দু-তিন জন কৃষ্ণনগরের দিকে যাচ্ছিলেন। মিশন গেটের কাছে তাঁদের গাড়ি আসার সময় যানজট ছিল রাস্তায়। দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়াররা তাঁদের গাড়ি দাঁড় করাতেই প্রথমে তৃণমূল কর্মী রঞ্জিৎ গাড়ি থেকে বেরিয়ে গালাগালি শুরু করেন বলে অভিযোগ। শুরু হয় দুই পক্ষের বচসা। কিছু ক্ষণের মধ্যে তা গড়ায় হাতাহাতিতে।
সিভিক ভলান্টিয়ারের অভিযোগ, কাউন্সিলর এবং তাঁর সঙ্গীরা তাঁকে মারধর করেছেন। এ নিয়ে রানাঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। তদন্তে নেমে চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রানাঘাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রবীর মণ্ডল বলেন, ‘‘গ্রেফতার করে ধৃতদের আদালতে তোলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’ অন্য দিকে, এ নিয়ে শাসকদলকে নিশানা করে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি।