Recruitment Scam

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সিআইডির হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন ডিআই সহ ৩

বহরমপুরের শিক্ষা দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ দু’টি গাড়িতে সিআইডির একটি দল বহরমপুরের ডিআই অফিসে হানা দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

 বহরমপুর শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০৪:২৫
Share:

সিআইডির হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন ডিআই সহ ৩। প্রতীকী ছবি।

মুর্শিদাবাদের সুতি ব্লকের গোঠা এ আর রহমান হাইস্কুলের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কলকাতার ভবানী ভবনে রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের (সিআইডি) হাতে গ্রেফতার হলেন মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (অবসরপ্রাপ্ত) পূরবী দে বিশ্বাস। বহরমপুরে রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের জেলা দফতরে শুক্রবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর সিআইডি আধিকারিকরা গ্রেফতার করেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অধীনস্থ দুই কর্মচারী নিত্যগোপাল মাঝি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী অঞ্জনা মজুমদারকে। এ দিন সিআইডি অন্য দুই শিক্ষা আধিকারিক সোমনাথ বিশ্বাস ও সুনীল বর্মণকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়।

Advertisement

বহরমপুরের শিক্ষা দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ দু’টি গাড়িতে সিআইডির একটি দল বহরমপুরের ডিআই অফিসে হানা দেয়। কিছু ক্ষণের মধ্যে ওই অফিসের মোট ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলার সিআইডি দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হল ডিআই সহ তিনজনকে। সিআইডি সূত্রে খবর, নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে শিক্ষক নিয়োগের ঘটনায় ওই ৫ জনের ভূমিকা ছিল। তাঁদের জন্য জেলায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাবিত হয়েছিল কি না, তা জানতে তৎপর সিআইডি। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই পাঁচজনের ভূমিকা কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল নাকি স্বেচ্ছায় তাঁরা এই কাজ করেছিলেন সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

প্রসঙ্গত, জাল নথি ব্যবহার করে ছেলেকে চাকরিতে নিয়োগের অভিযোগ ওঠে গোঠা হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক আশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ওই মামলা তদন্তের ভার নেয় সিআইডি। তদন্ত চলাকালীন গত ১৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন আশিস। আপাতত সিআইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। ধৃত আশিস তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে দাবি করেছে সিআইডি। অন্য দিকে, তাঁর পুত্র অনিমেষ তিওয়ারি নামে ওই শিক্ষক পলাতক। এই মামলায় ৩৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তবে যে জাল নথির ভিত্তিতে অনিমেষকে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে দাবি, তা মুর্শিদাবাদের স্কুল পরিদর্শক অফিস থেকে লোপাট করা হয়েছে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement