প্রতীকী ছবি।
খাদ্য সুরক্ষা তালিকায় নাম না থাকা পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সম্পূর্ণ তালিকা এখনও তৈরি করতে পারেনি খাদ্য দফতর। যার জেরে প্রাথমিকভাবে ডিলার পিছু মাত্র ১০ শতাংশ ছোলা (চানা) ও চাল বরাদ্দ করেছে জেলা খাদ্য দফতর। অধিকাংশ গ্রাহকের এই প্রকল্পের সুবিধাও তাই এখনও অধরা।
জেলায় দু’লক্ষেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন বলে প্রশাসনের প্রাথমিক হিসেব। কিন্তু তাঁদের মধ্যে প্রথম দিনে হাজার দশেক এই সুবিধা পেয়েছেন। খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, জুন মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে এই প্রকল্পের আওতাধীন সকলেই চাল ও ছোলা পাবেন। ইতিমধ্যে বিডিও অফিসগুলিতে প্রায় দেড় লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের তালিকা ও কুপন তৈরির কাজ সবে শুরু হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলা খাদ্য নিমায়ক সাধনকুমার পাঠক বলেন, ‘‘খাদ্য সুরক্ষা তালিকায় নাম না-থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের তালিকা ডিলারদের করতে বলা হয়েছে। আপাতত তাই ১০ শতাংশ করে ছোলা ও চাল বরাদ্দ করা হয়েছে ডিস্ট্রিবিউটরদের। পূর্ণাঙ্গ তালিকা হয়ে গেলে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’’
সূ্ত্রের খবর, খাদ্য সুরক্ষা তালিকায় নাম না থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের দু’মাসের জন্য মাথা পিছু পাঁচ কেজি করে দু’মাসের বরাদ্দ ১০ কেজি করে চাল ও পরিবার পিছু এক কেজি করে দু’মাসে দু’কেজি ছোলা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার থেকে সেই বণ্টন শুরু হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে দাবি, জেলায় দু’লক্ষেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। ওয়েস্টবেঙ্গল এমআর ডিলার অ্যাসোসিয়েশেনর জেলা সম্পাদক কৃষ্ণচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘খাদ্য সুরক্ষার তালিকায় নাম না-থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য জেলার সর্বত্র এখনও চাল ও ছোলা বরাদ্দ করেনি। ফলে সব জায়গায় তা দেওয়া শুরু করা যায়নি। তালিকা হলে তা বিলি করা শুরু হবে।’’
রেশন ডিলারদের দাবি, ডোমকল, বহরমপুর, শমসেরগঞ্জ-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকার জন্য এখনও চাল ছোলা বরাদ্দ হয়নি। তার উপরে অনেক এলাকাতে তালিকাও তৈরির কাজ অসম্পূর্ণ।
ভিন্ রাজ্য ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকদের মঙ্গলবার থেকে ছোলা-চাল দেওয়া শুরু হয়েছে। রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের ডোমকল ব্লকের সম্পাদক সালামাতুল্লা বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য খাদ্য দফতর আমাদের ব্লকের জন্য এখনও বরাদ্দ করেনি। তালিকা সম্পূর্ণ হলে বিলি-বণ্টন শুরুহবে।’’