engineering college

১৯ মাসের বেতন বকেয়া, মুর্শিদাবাদের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বিক্ষোভ শিক্ষকদের

শিক্ষকদের অভিযোগ, রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস এবং ওই কলেজে কর্মরত তাঁর স্ত্রীর বেতন বেড়েছে। তাঁদের আগের বেতনই দেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। যদিও তা অস্বীকার করেন বিশ্বজিৎ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৩ ২২:০৩
Share:

মুর্শিদাবাদের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বিক্ষোভ শিক্ষকদের। — নিজস্ব চিত্র।

মুর্শিদাবাদ জেলার সব থেকে পুরনো বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বন্ধ হতে বসেছে পড়াশোনা। মুর্শিদাবাদ কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (এমসিইটি)-তে শিক্ষকদের ১৯ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। তার দাবিতে মঙ্গলবার রেজিস্ট্রারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান কলেজের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা।

Advertisement

শিক্ষকদের অভিযোগ, রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস এবং ওই কলেজে কর্মরত তাঁর স্ত্রীর বেতন বেড়েছে। তাঁদের আগের বেতনই দেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। যদিও তা অস্বীকার করেন বিশ্বজিৎ। তিনি বলেন, “আমি বেতন দেওয়ার মালিক নই। আমি শুধু সিগনেচার অথরিটি।” সহকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে পড়ে কলেজ থেকে পালিয়ে যান তিনি।

দীর্ঘ দিন ধরেই এই কলেজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জমির দিকে নজর পড়েছে মাফিয়াদের বলেও অভিযোগ। ১৯৯৭ সালের ৭ নভেম্বর তৈরি হয় কলেজটি। বিতর্কের শুরু ২০১৯ সালে। কলেজ কার? তাই নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর এমসিইটির ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাম্পাসে বসে তৎকালীন জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন দাবি করেন, এই কলেজ মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের। যদিও তা মানতে অস্বীকার করেন কলেজের পূর্বতন পরিচালন সমিতির সদস্যেরা। তাঁরা দাবি করেন, বেআইনি ভাবে কলেজ দখল করেছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতিই। চলছে আইনি লড়াই।

Advertisement

এর মধ্যেই শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের বেতন অনিয়মিত হয়েছে বলে অভিযোগ। বকেয়া পরে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও। অভিযোগ উঠেছে, জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি মোশারফের ব্যাক ডেটে স্বাক্ষরিত একটি চিঠির কারণেই বেড়ে গিয়েছে বর্তমান রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাসের বেতন। আরও অভিযোগ, কলেজ থেকে নানা অছিলায় লক্ষ লক্ষ টাকা অগ্রিম নিয়েছেন বিশ্বজিৎ, যার কোনও ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ই দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি কলেজের প্রিন্সিপাল নিয়োগ নিয়েও উঠেছে অনিয়মের অভিযোগ। ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাম্পাস দখলের পর কাশিমবাজারে কলেজের বিবিএ-বিসিএ ক্যাম্পাস দখলের চেষ্টা করছেন বিশ্বজিৎ। আর তা করেছেন পরিচালন সমিতির সদস্যদের অন্ধকারে রেখেই, দাবি তাঁদের। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন বিশ্বজিৎ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement