— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আগামী (২০২৪-২৫) শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাক্প্রাথমিক এবং প্রাথমিকে ভর্তির ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্যও আসন সংরক্ষিত থাকবে। মঙ্গলবার আগামী শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির নিয়মাবলী প্রকাশ করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। তাতেই জানানো হয়েছে নতুন করে এই সংরক্ষণের কথা। পাশাপাশি, কোন শ্রেণিতে ভর্তি হতে গেলে কত বয়স হতে হবে, তা-ও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার নির্দেশিকা প্রকাশ করে শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাক্প্রাথমিক এবং প্রাথমিকে ভর্তির ক্ষেত্রে স্কুলগুলিতে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য। ২২ শতাংশ তফসিলি জাতি, ৬ শতাংশ তফসিলি জনজাতি, ১০ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণি (এ), ৭ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণি (বি)-র জন্য সংরক্ষিত থাকবে। কোনও স্কুলে তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আসন পূরণ না হলে তাতে ভর্তি হতে পারবে তফসিলি জনজাতির পড়ুয়া। আবার উল্টোটাও হতে পারে। একই ভাবে অনগ্রসর শ্রেণি (এ)-র জন্য সংরক্ষিত আসন পূরণ না হলে তাতে ভর্তি হতে পারবে অনগ্রসর শ্রেণি (বি)-র আওতায় থাকা পড়ুয়ারা।
পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, শিক্ষার অধিকার আইনে (২০০৯) ছয় থেকে ১৪ বছর (বিশেষ ভাবে সক্ষম হলে ছয় থেকে ১৮) বয়সি পড়ুয়ারা বয়স অনুযায়ী কাছের প্রাক প্রাথমিক বা প্রাথমিক স্কুলে নির্দিষ্ট ক্লাসে ভর্তি হতে পারবে। এ জন্য তাদের বা অভিভাবকদের কোনও পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না। যে সব শিশু প্রাক্প্রাথমিকে ভর্তি হতে চাইবে, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি তাদের বয়স হতে হবে পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হতে চাইলে বয়স হতে হবে ছয় থেকে সাত বছর। দ্বিতীয় শ্রেণিতে সাত থেকে আট বছর, তৃতীয় শ্রেণিতে আট থেকে ন’বছর, চতুর্থ শ্রেণিতে নয় থেকে ১০ বছর, পঞ্চম শ্রেণিতে ১০ থেকে ১১ বছর, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১১ থেকে ১২ বছর, সপ্তম শ্রেণিতে ১২ থেকে ১৩ বছর, অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হতে গেলে বয়স হতে হবে পড়ুয়ার ১৩ থেকে ১৪ বছর।
শিক্ষা দফতরের এই ঘোষণাকে সঠিক ও সময়োপযোগী বলেছেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সভাপতি বিজন সরকার। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল।