—ফাইল চিত্র।
বাসিন্দাদের স্বার্থে এলাকায় আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের কার্যালয় খোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন সদ্য পদত্যাগী পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় দু’বছর কেটে গেলেও ওই দফতর এখনও চালু হয়নি। এ নিয়ে বাসিন্দারা একই সঙ্গে হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের সংশয়, আদৌ সেই কার্যালয় হবে কি না তা নিয়েও।
প্রায় বছর দুই আগে শুভেন্দু কান্দিতে একটি রাজনৈতিক সভা করতে এসেছিলেন। ওইদিন তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, কান্দিতে মহকুমা স্তরের একটি অতিরিক্ত আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর করা হবে।
মন্ত্রীর ওই ঘোষণায় সাধারণ মানুষ আশার আলো দেখেছিলেন। পরিবহণ বিভাগের কোনও কাজ করতে তাঁদের আর বহরমপুরে ছুটতে হবে না বলেও মনে করেছিলেন কান্দি মহকুমার বড়ঞা, কান্দি, খড়গ্রাম, ভরতপুর ১ ও ২ পাঁচটি ব্লকের বাসিন্দাদের।
কিন্তু দু’বছর পরেও ওই কার্যালয় না হওয়ায় ক্ষোভ দেখা গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পরিবহণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে। যদিও জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আধিকারিক (আরটিও) সিদ্ধার্থ রায় বলেন, “পরিবহণ মন্ত্রী কান্দিতে একটি অতিরিক্ত কার্যালয় করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সরকারি ভাবে কান্দিতে দফতর চালু করার বিষয়ে আমাদের দফতরের কোনও নির্দেশ আসেনি। কী হবে, তা আমার জানা নেই।”
তবে বিধানসভা ভোটের মুখে ওই দফতর চালু না হওয়া নিয়ে শাসকদলকে বিঁধতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।
তাঁদের অভিযোগ, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে ওই ‘মিথ্যা প্রতিশ্রুতি’ দেওয়া হয়েছিল জেনে বুঝেই। নিছকই ভোট পেতে ওই ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই জন্যই ঘোষণার দু’বছর পরেও ওই কাজ বিন্দুমাত্র এগোয়নি। কান্দি বাস সিন্ডিকেটের সহকারী সভাপতি ফুলু মিঁয়া বলেন, “মন্ত্রীর মুখে এমন আশ্বাস শুনে আমরা খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু তারপর আমরা বহু বার জেলা পরিবহণ দফতরে খোঁজখবর নিয়েও কান্দিতে পরিবহণ দফতর হওয়ার কোনও খবর পাইনি।’’
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, মহকুমা স্তরের আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের কার্যালয় তৈরি করতে এক হাজার থেকে বারোশো বর্গফুটের ভবন প্রয়োজন। এই মুহূর্তে তেমন ঘর নেই পরিবহণ বিভাগের হাতে। কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক শফিউল আলম খানের কটাক্ষ, “বিধানসভা ভোট সামনে। বলা কি যায়, পরিবহণ দফতরের কার্যালয় করার আশ্বাস ফের দেবে তৃণমূল।” কান্দি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, “আমাদের দল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় না। কান্দিতে পরিবহণ দফতরের কার্যালয় হওয়ার কথা শুনেছিলাম। কিন্তু এখন তার কী অবস্থা জানা নেই।”