Durga Puja Shopping

ছুটির দিনেও বাজার ফাঁকা

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর পাটের দাম তলানিতে। যার প্রভাব পড়ছে পুজোর বাজারে। ফলে শহরের কিছু বড় দোকানে ক্রেতা চোখেও পড়লেও এ দিন মফস্‌সলের বাজার কার্যত ফাঁকা ছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

মুর্শিদাবাদ শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৪১
Share:

ক্রেতার অপেক্ষা। হরিহরপাড়ায়। ছবি: মফিদুল ইসলাম।

দুর্গাপুজোর বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। অথচ, জমেনি পুজোর বাজার। রবিবার ছুটির দিনেও শহর এবং মফস্‌সলের বাজারগুলিতে ক্রেতার তেমন ভিড় চোখে পড়েনি। হরিহরপাড়া থেকে ডোমকল, ধুলিয়ান, রঘুনাথগঞ্জ, বেলডাঙা, বহরমপুর—সর্বত্রই চিত্রটা প্রায় একই।

Advertisement

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর পাটের দাম তলানিতে। যার প্রভাব পড়ছে পুজোর বাজারে। ফলে শহরের কিছু বড় দোকানে ক্রেতা চোখেও পড়লেও এ দিন মফস্‌সলের বাজার কার্যত ফাঁকা ছিল। তাছাড়া, রবিবার সকাল থেকে দিনভর ঝিরঝিরে বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে রবিবাসরীয় কেনাকাটায়। হরিহরপাড়ার এক পোশাকের দোকানদার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘‘অন্যবার পুজোর মাসখানেক আগে থেকেই বেচাকেনা শুরু হয়ে যায়। এ বছর বিক্রিবাটা এখনও শুরু হয়নি। আজ দিনভর বৃষ্টিতে ক্রেতা ছিল হাতেগোনা।’’ একই কথা বলছেন ধুলিয়ানের এক নামী পোশাকের দোকানদার। বেলডাঙা, ডোমকলেও একই ছবি। ডোমকলের এক পোশাক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের হাতে টাকা নেই। যার প্রভাব পড়ছে পুজোর বাজারে।’’

এ দিন সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। তাতে বেলডাঙা, হরিহরপাড়া, নওদার বাজারগুলিতে লোকজন কম ছিল। অধিকাংশ দোকানদার অলস দিন কাটান। বহরমপুর শহরের কিছু নামী পোশাকের দোকান, শপিং মলেও এ দিন ক্রেতার সংখ্যা ছিল তুলনামূলক ভাবে কম।

Advertisement

বহরমপুরের বাসিন্দা সুসিত দাশ বলেন, ‘‘অন্য বছর এই সময় পোশাক, জুতোর দোকানে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। রবিবার ফাঁকা দোকান। পরিবারকে নিয়ে আরামেই পুজোর বাজার করেছি।’’

ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক কল্যাণ সাহা বলেন, ‘‘কৃষিনির্ভর জেলায় পুজোর বাজার অনেকটাই নির্ভর করে পাটের দামের উপর। এ বছর চাষিরা পাটের দাম ঠিকমতো পাচ্ছেন না, যার প্রভাব পড়ছে পুজোর বাজারে।’’ বহরমপুর ক্লথ মার্চেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাপস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ বছর পুজোর বাজারে মন্দা। ভেবেছিলাম, শেষের দিকে বাজার জমবে। কিন্তু গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বাজার মার খাচ্ছে। হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া অধিকাংশ দোকানেই বেচাকেনা খুব কম।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement