maa canteen

রোগীর পরিজনের নৈশ আবাস উঠিয়ে ‘মা ক্যান্টিন’, বিতর্ক

বিষয়টি জানার পর সাত জন কাউন্সিলর পুর প্রধানের কাছে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল  পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ভিতরে পড়ে।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:০১
Share:

নৈশ আবাস সরিয়ে ক্য়ান্টিন। — ফাইল চিত্র।

জেলা হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের থাকার নৈশ আবাস তুলে দিয়ে সেখানে ‘মা ক্যান্টিন’ তৈরি করা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রোগীর পরিবারের লোক জনের দুপুরের খাবারের জন্য এই ক্যান্টিন চালু করতে চলেছে কৃষ্ণনগর পুরসভা। এই সিদ্ধান্ত ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

Advertisement

অনেকেরই প্রশ্ন, নৈশ আবাস তুলে দিলে রাতে রোগীর পরিবারের লোকেরা থাকবেন কোথায়? রাতের অন্ধকারে শীতে বা বৃষ্টির মধ্যে তাঁদের কি খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে?

বিষয়টি জানার পর সাত জন কাউন্সিলর পুর প্রধানের কাছে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ভিতরে পড়ে। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিজেপির বর্ণালী গুইন দত্ত বলেন, “একেবারেই বেঠিক সিদ্ধান্ত। গোটা জেলা থেকে প্রতিদিন শয়ে-শয়ে মানুষ এই হাসপাতালে আসেন। অনেক রোগীর আবস্থা আশঙ্কাজনক থাকে। তাঁদের আত্মীয়কে রাতে হাসপাতালে থেকে যেতে হয়। এ বার তো তাঁদের খোলা আকাশের নীচেই থাকতে হবে।”

Advertisement

হাসপাতাল চত্বরের আশেপাশের ছিনতাই বা খুনের ঘটনাও অতীতে ঘটেছে। ফলে রোগীর বাড়ির লোকের নিরাপত্তার কারণেও ২০০৭ সালে এই নৈশ আবাসটি তৈরি হয়। পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী শান্তনা সাহা বলেন, “নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে কারও যদি ক্ষতি হয়, তার দায় কে নেবে?মা ক্যান্টিন খুবই প্রয়োজনীয়। কিন্তু সেটা কেন হাসপাতাল চত্বরের ভিতরে অন্য জায়গায় করা হচ্ছে না? অন্য কোনও চক্রান্ত কাজ করছে না তো এখানে?”

কৃষ্ণনগর পুরসভার পুরপ্রধান তৃণমূলের রিতা দাস আবার দাবি করেছেন, “মা ক্যান্টিনের জন্য ওই জায়গাটাই সব থেকেউপযুক্ত। রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে যৌথ ভাবে ঘুরে এই জায়গাটা বাছা হয়েছে।” আর হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত সরকারের দাবি, “পুরসভা ও রোগীকল্যাণ সমিতি যৌথ ভাবে ওই জায়গাটি পছন্দ করেছে। আর সেটা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তও নিয়েছে রোগীকল্যাণ সমিতি।।” তিনি বলেন,“রোগীদের বাড়ির লোকেদের থাকার জন্য আমরা বিকল্প জায়গা দেখছি। আশা করছি এই সমস্যাটা থাকবে না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement