প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘ কাল লকডাউন কেটেছে। তা উঠে যাওয়ার পরেও তার রেশ রয়ে গিয়েছে বলে আশঙ্কা পুলিশের। লকডাউনে সব ধরনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। স্কুল বন্ধ, কলেজ বন্ধ, সরকারি বেসরকারি দফতর বন্ধ, গণ পরিবহণ বন্ধ। কিন্তু সমাজমাধ্যম খোলা ছিল। সেই সময় নানা রকমের সমাজ মাধ্যমে আসক্ত হয়েছে নাবালাক, নাবালিকা, তরুণ, তরুণী। ঠিক সেখানেই সম্পর্কের ফাঁদ পাতা হয়েছিল। যে ফাঁদ অব্যাহত। তাতে পা দিয়ে বেলডাঙারই ২০ জন নিখোঁজ হয়ে যান। বেলডাঙা থানার পুলিশ গত এক মাসে ১০ জনকে উদ্ধার করেছে।
তখনই একের পর এক ঘটনায় অবাক পুলিশ।
এক তরুণী সমাজ মাধ্যমে এক জনের সঙ্গে আলাপের পর তার কথায় প্রতিবেশী দেশে চলে যায়। ট্রেনে নদিয়ার রানাঘাট হয়ে বনগাঁ যায়। পরে সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশে প্রবেশ করেন। সম্প্রতি ওই তরুণী দেশে ফেরার সময় নদিয়ার চাপড়া থানার পুলিশের জালে ধরা পড়েন। ওই তরুণী জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানিয়েছেন, এক তরুণ সমাজমাধ্যমে নিজের পরিচয় দিয়েছিল প্রতিবেশী দেশের এক শহরে এক তেল তৈরির কারখানায় কাজ করত বলে। তার সঙ্গেই দেখা করতে গিয়ে ওই তরুণী দালাল চক্রের খপ্পরে পড়েছিলেন বলে তাঁর দাবি। পরে তরুণী নিজের চেষ্টায় দেশে ফিরেছেন।
নিখোঁজের তালিকায় নাবালক ও নাবালিকাও রয়েছে। একাদশ শ্রেণির এক নাবালিকা ছাত্রীকে সম্প্রতি পুলিশ উত্তর চব্বিশ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে থেকে উদ্ধার করে।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগ বিভাগের চিকিৎসকরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সমাজ মাধ্যম ব্যবহারের সময়ে অত্যন্ত যত্নবান হতে হবে। নিজস্বী তুলে বা দৈনন্দিন জীবনের খুঁটিনাটি পোস্ট করে দিলে তা সাইবার সুরক্ষার ফাঁক গলে দুষ্কৃতীদের হাতে চলে যেতে পারে। এ ছাড়া ফেক প্রোফাইল খুলে প্রেমে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে আকছার।তাই অভিভাবকদের হতে হবে সদাসতর্ক।’’