Saraswati Puja 2023

সরস্বতী পুজো পার হলেই বাড়বে কুলের বিক্রি

‘কুল’ শব্দটা কানে এলেই মনে পড়ে, পাড়ার কোন বাড়িতে টোপা কুলের গাছ ছিল। স্কুল থেকে ফেরার পথে ঢিল ছুঁড়ে সেই কুল পেড়ে খেতে খেতে বাড়ি ফেরার কথা।

Advertisement

সুদীপ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:০৭
Share:

বিক্রি বাড়বে কুলের। — ফাইল চিত্র।

কুল, সরস্বতী পুজো আর ছেলেবেলা— শব্দগুলো যেন একে অপরের পরিপূরক। কুল ছাড়া সরস্বতী পুজো বা ছেলেবেলা মনে পড়বে না, এমন সম্ভব নয়।

Advertisement

‘কুল’ শব্দটা কানে এলেই মনে পড়ে, পাড়ার কোন বাড়িতে টোপা কুলের গাছ ছিল। স্কুল থেকে ফেরার পথে ঢিল ছুঁড়ে সেই কুল পেড়ে খেতে খেতে বাড়ি ফেরার কথা। বাড়িতে এসে বড়দের বকুনি খাওয়ার কথা। আজ সে সব অতীত। টোপা কুলও কেমন হারিয়ে যাচ্ছে পরিবেশ থেকে। সে জায়গা দখল করছে বড় মাপের মিষ্টি সংকর জাতের কুল। এখন বেশ কয়েক রকম সংকর কুল, যেমন— বায়ো কুল, চেরি কুল, আপেল কুল বিভিন্ন জাতের সুন্দরী কুল, টাই ওয়ান ধরনের কুল বাজারে পাওয়া যায়। দেশি টোপা কুল যে একেবারেই পাওয়া যায় না, তা নয়। তবে তা টক-মিষ্টি হওয়ায় এখনকার মানুষের পছন্দের তালিকায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে।

আর আগের মতো মা ঠাকুমারা কুলের আচারও তৈরি করেন না এখন। রাস্তার ধার থেকেও একে একে হারিয়ে যাচ্ছে দেশি কুলের গাছ। সব কিছু মিলিয়ে কুল বলতে এখন উন্নত জাতের কুলকেই চিনছে নতুন প্রজন্ম।

Advertisement

দোকানিদের কাছেই জানা গেল, মাসখানেক হল— বায়ো কুল বা ভারত সুন্দরীর মতো কুল বাজারে চলে এসেছে। তবে এখনও দিনপনেরো-কুড়ি লাগবে বাকি সব ধরনের উন্নত জাতের কুল ভাল ভাবে বাজারে আসতে। যেগুলো এখন পাওয়া যাচ্ছে, তার বিক্রিও হচ্ছে মোটামুটি। তবে সরস্বতী পুজোর পর থেকে কুলের বিক্রি অনেকটাই বেড়ে যায় বলেও জানালেন তাঁরা।

কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়ে একটা ভ্যান রিকশায় বায়ো কুল বিক্রি করছিলেন ধুবুলিয়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘গত বছরের চেয়ে এই বছর কুলের উৎপাদন ভাল। বিক্রিও হচ্ছে দিনে ৩০ থেকে ৪০ কিলোগ্রামের মতো।’’ তবে তাঁর আশা, সরস্বতী পুজোর পর এই বিক্রি প্রায় দ্বিগুণ হবে।

সরস্বতী পুজোর বাজারের কথা মাথায় রেখে পেয়ারা বিক্রেতা সমীর শেখ এখন কুল তুলতে শুরু করেছেন বিক্রির জন্যে। ধুবুলিয়ার কুল চাষি পলাশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘এই বছর ভাদ্র মাস নাগাদ যখন কুলের ফুল আসে, তখন বৃষ্টি না হওয়ায় কুলের উৎপাদন গত বছরের চেয়ে ভাল। বিক্রির বাজারও এখনও পর্যন্ত বেশ ভাল।’’

ওই কুল আশপাশের এলাকা ছাড়াও ওড়িশা। হায়দরাবাদ, শিলিগুড়ি, নেপালেও বিক্রির জন্যে যায় বলেও জানান তিনি। তাঁর কাছেই জানা গেল, ‘‘এ বছর সরস্বতী পুজো এগিয়ে আসায় পুজোর সময়ে সব ধরনের কুল হয়তো পাওয়া না-ও যেতে পারে। তবে পুজোর কিছুদিন পর থেকে নানান ধরনের উন্নত প্রজাতির কুলে বাজার ছেয়ে যাবে।’’ নিজস্ব চিত্র

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement