চলছে জেনারেটর। নিজস্ব চিত্র
ইদে এলাকা নির্জলা থাকবে, তা মেনে নিতে পারেননি পাড়ার যুবকেরা। এগিয়ে এসেছেন ধর্ম নির্বিশেষে। সকলে উদ্যোগী হয়ে একটি জেনারেটর ভাড়া করে পাড়া তো বটেই, জল দিয়েছেন মসজিদেও। চাকদহের পুমলিয়ার ঘটনা।
মসজিদের ইমাম আমিনুল হক বিশ্বাস বলেন, “আমপানের পর আমরা খুব জলের সমস্যায় ভুগছিলাম। জলের কারণে অনেক কিছুই করতে পারছিলাম না। সেই সময় জানতে পারি, চাকদহ শহরে বাসিন্দা সৌমিত্র ভট্টাচার্যেরা বিনা পয়সার বিভিন্ন জায়গায় জলের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। সেটা জানার পর তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি জেনারেটর নিয়ে এসে জলের ব্যবস্থা করে দিয়ে গিয়েছেন। এখন এ ভাবে জলের ট্যাঙ্কি ভরতে তিন, চারশো টাকা লাগে। অনেকের পক্ষে সেটা সম্ভব হয় না।”
তিনি বলেন, আমরা এ-ও জানতে পেরেছি, “শুধু এই সময় জল দেওয়া নয়, বিভিন্ন সময়ে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়ান। লকডাউনে কাজহারাদের পাশেও তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। সকলের হাতে ত্রাণ তুলে দিয়েছেন।”
ঝড়-বৃষ্টির পর চাকদহ শহর এবং আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। অনেকের বাড়িতে জল বলতে কিছুই ছিল না। জল না থাকায় ওই সব পরিবার বিপদে পড়ে যায়। সেই সব বাড়ি থেকে তাঁদের সমস্যার খবর এলাকার ছেলেদের কাছে আসতে শুরু করে। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন জেনারেটরের মাধ্যমে ওই সব বাড়িতে মোটর চালিয়ে জলের ব্যবস্থা করবেন। গত দু’দিন থেকে বিভিন্ন মসজিদেও জলের ব্যবস্থা করেছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে গত কয়েক দিন থেকে চাকদহ শহরের ৯, ১৫, ১৬, ১৭ ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাড়িতে এবং কয়েকটি মসজিদে জলের ব্যবস্থা করেন ওই সব যুবক। তাঁদের পক্ষ থেকে সৌমিত্র ভট্টাচার্য বলেন, “মানবিকতার কারণে আমরা এই উদ্যোগ করছি। অনেকেই উপকৃত হয়েছেন। ফেসবুকে বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসতে শুরু করে। ফোন পেয়ে সেই সব এলাকায় জলের ব্যবস্থা করেছি।”