ভেজাল মশলার কারখানায় হানা দেওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে (ডান দিকে) রানাঘাটের ডিএসপি (সীমান্ত) সোমনাথ ঝা এবং হাঁসখালির সিআই অয়ন চক্রবর্তী। —নিজস্ব চিত্র।
ধানের তুষ, তার সঙ্গে রং এবং রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে লঙ্কা, হলুদ, জিরের গুঁড়ো! রীতিমতো ভেজাল মশলার ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন কয়েক জন। সেই ব্যবসাই এ বার বানচাল করে দিলেন রানাঘাট পুলিশের আধিকারিকেরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রানাঘাটের ধানতলা থানা এলাকার একটি কারখানায় হানা দেয় পুলিশ। মালিক দীপঙ্কর হালদারকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় ভেজাল মশলা।
পুলিশ জানিয়েছে, রানাঘাটের ধানতলা থানার আড়ংঘাটা সংলগ্ন বাবুপাড়ার একটি গলির ভিতরের এক কারখানায় ভেজাল মশলা তৈরি হচ্ছে বলে তারা খবর পায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ। বেশ কিছু দিন ধরেই তদন্তকারীরা কারখানা মালিকের গতিবিধির উপর নজর রাখছিলেন। শুধু তা-ই নয়, কারখানার ভিতরে কী ধরনের কারবার চলে, তার উপরেও গোপনে নজর রাখছিল জেলা পুলিশের একটি দল। শুক্রবার ক্রেতা সেজে ওই কারখানায় হানা দেন পুলিশের আধিকারিকেরা। কারখানা থেকে গ্রেফতার করা হয় মালিককে। ধৃতের বিরুদ্ধে খাবারে ভেজাল দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। শনিবার অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করানো হয়।
রানাঘাটের ডিএসপি (সীমান্ত) সোমনাথ ঝা বলেন, ‘‘বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে এক ব্যক্তিকে ভেজাল মশলা তৈরি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভেজাল মশলা।’’ তিনি আরও জানান, ধৃতকে আদালতে হাজির করিয়ে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে এই ভেজাল মশলার বাজার এবং রাসায়নিকের উৎস সম্পর্কে তথ্য উদ্ধার করা হবে।