গাংনাপুরে কংগ্রেসের পথ অবরোধ (উপরে)। গাংনাপুরে এসএফআই ও ডিওয়াইএফের মোমমিছিল। নিজস্ব চিত্র
কোথাও প্রতিবাদ সভা, কোথাও পদযাত্রা— হাথরস কাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার জেলা জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলনের পথে নামল বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন।
দলিত কিশোরীকে ধর্ষণ-খুন, রাহুল গাঁধীকে হেনস্থা, গ্রেফতার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি নীতির প্রতিবাদে এ দিন বেলা ১১টা থেকে তারা গাংনাপুর চৌমাথায় পথ অবরোধ করে কংগ্রেস। তার জেরে বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তার দু’দিকে সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা চলে এই অবরোধ।
বিভিন্ন বাম সংগঠনের তরফেও প্রতিবাদ কর্মসূচি সংগঠিত হয়েছে। রানাঘাটের হরিসভা লেন বাজার মোড়ে সভা করে আরএসপি। এসএফআই মিছিল বার করে হরিণঘাটায়। বড় জাগুলিয়ায় মিছিল ও সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক দীপ্সিতা ধর, রাজ্য সভাপতি প্রতীক উর রহমান, এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শান্তনু সিংহ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। গাংনাপুরের আঁইশমালিতে সিপিএমের যুব এবং ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে মোমবাতি মিছিল এবং সভা করা হয়েছে।
কৃষ্ণনগরে জেলা দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে হাথরস নিয়ে সরব হন জেলা তৃণমূল নেতারা। রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস এবং রাজ্যসভার সাংসদ আবীররঞ্জন বিশ্বাস সেখানে হাডির ছিলেন। নারী নির্যাতনের ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। বিকেলে নবদ্বীপ শহরের ২৪টি ওয়ার্ডে ছোট ছোট পদযাত্রারও আয়োজন করা হয়। তেহট্টের জিৎপুর মোড়ে প্রতিবাদ সভায় ছিলেন তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত। রানাঘাট ২ ব্লকের ধানতলা থেকে চাঁদপুর মোড় পর্যন্ত মিছিল বেরোয়। ধানতলার পথসভায় ছিলেন রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক সমীর পোদ্দার। হাসখালি ব্লক অফিসের কাছ থেকে বাজার পর্যন্তও একটি মিছিল বেরোয়। সন্ধ্যায় চাকদহ শহরে যুব তৃণমুলের মিছিলে পা যোগ দেন বৃহন্নলারাও। রাজ্যের মন্ত্রী তথা চাকদহের বিধায়ক রত্না ঘোষ হাজির ছিলেন।