গাঁজাগাছ পুড়িয়ে নষ্ট করছে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।
সবার চোখের আড়ালে রমরমিয়ে চলছিল গাঁজার চাষ। উঠোনে যেমন গাঁজাগাছ উঁকি মারছে, বাইরের বাগান পর্যন্ত গাঁজাগাছে ছয়লাপ। কিন্তু অন্য গাছগাছালির মধ্যে নির্দিষ্ট প্রকারের গাঁজাগাছ চিহ্নিত করা সমস্যার। যদিও এত কিছু করেও পুলিশের চোখ এড়ানো গেল না। শিকড়সুদ্ধ উপড়ে ফেলা হল গাঁজাগাছ। তার পর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হল ‘পাকা ফসল’। ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি। পুলিশকে এ কাজে সহায়তা করে আবগারি দফতরও।
গোপন সূত্রে প্রথমে আবগারি দফতর, পরে পুলিশ খবর পায়, জলঙ্গির হুকোহারা গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অন্য গাছের আড়ালে চলছে গাঁজাচাষ। ঠিক ছিল, আর ক’দিনের মধ্যেই গাছ কেটে গাঁজা সংগ্রহ করে নেওয়া হবে। তা হলেই কেল্লা ফতে। কড়কড়ে কাঁচা টাকার লোভ অবশ্য বিপদ ডেকে আনল। গোপনে পাওয়া খবরের উপর ভিত্তি করে অভিযানে নামে আবগারি দফতর এবং পুলিশ। যাঁদের অভিজ্ঞ চোখ মুহূর্তেই বুঝতে পারে, গাঁজা চাষ নয়, এ রীতিমতো গাঁজার বন তৈরি হয়েছে! এর পরেই কেটে ফেলা হয় কয়েকশো গাঁজা গাছ। তার পর বা়ড়ির উঠোনেই আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয় ‘ফসল’।
এ বিষয়ে আবগারি দফতরের কর্তব্যরত আধিকারিক বলেন, ‘‘গোপন সূত্রের পাওয়া খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার অভিযান চালানো হয় । অবৈধ ভাবে বাড়ির উঠোন এবং কৃষিজমিতে চাষ করা গাঁজার গাছ নষ্ট করা হয়েছে।’’