প্রতীকী ছবি।
বিহারে বিধানসভা ভোটে এনডিএ জোটের জয়ের খুশিতে নবদ্বীপে বিজয় মিছিলের আয়োজন করেছিল স্থানীয় বিজেপি। করোনাকালে বিধিভঙ্গ করে কয়েকশো লোকের জমায়েত করে, বাজনা বাজিয়ে মিছিলের আয়োজন করায় অভিযোগে তাই বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করল পুলিশ।
গত ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় নবদ্বীপের রাস্তায় বিহার জয়ের আনন্দে মিছিল করে বিজেপি। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মিছিলে কমবেশি শ’দুয়েক কর্মী-সমর্থক জড়়ো হয়েছিলেন। অভিযোগ, তাঁরা অতিমারির কালে বাজনা সহযোগে রাস্তায় ওই মিছিলে অংশ নেন। ওই মিছিলের জন্য পুলিশের কাছ থেকে কোনও লিখিত বা মৌখিক অনুমতি নেওয়া হয়নি।
অতিমারির সময়ে বিধিবদ্ধ আচরণবিধি মেনে চলতে সকলকে বারে-বারে সতর্ক করছে প্রশাসন। কিন্তু তা না-মেনে সেখানে প্রায় দু’শো লোকের জমায়েত করে আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নবদ্বীপ থানার আইসি কল্লোল কুমার ঘোষ বলেন, “কোনও অনুমতি ছাড়া দেড়-দু’শো লোক জড়ো করে এ ভাবে বাজনা বাজিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় না-রেখে যা করা হয়েছে একেবারেই অনভিপ্রেত। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এফআইআরে প্রাথমিক ভাবে জনা বারো বিজেপি নেতা-কর্মীর নাম আছে।
সপ্তাহ দু’য়েক পরেই নবদ্বীপের রাস। করোনা আবহে আড়়ং, কার্নিভাল বাতিল হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বাজনার উপরেও। কেবল মাত্র ঢাক ছাড়া রাসে অন্য কোনও বাজনা করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল শোরগোল পড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে পুলিশ কর্তাদের বক্তব্য, করোনা কালে আদলতের নির্দেশের বাইরে গিয়ে যে বা যারা এ ধরনের জমায়েত করবে তাদের সকলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও এই প্রসঙ্গে বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “তৃণমূলের পুলিশ মামলা করতেই পারে। কিন্তু হাইকোর্ট সব রাজনৈতিক দলকে মিছিল মিটিং করার অনুমতি দিয়েছেন। তা ছাড়া শাসক দল প্রচুর মিটিং মিছিল করছে। সুতরাং বিরোধী দল হিসাবে আমাদেরও সেই অধিকার রয়েছে। কোনও আইনভঙ্গ আমরা করিনি।”