রাস্তায় ফেলে মারধর। — নিজস্ব চিত্র।
গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের ভরতপুর। শনিবার স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের দফতরে হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক জনকে। ধৃত তৃণমূলের ভরতপুর এক নম্বর ব্লকের সভাপতি নজরুল ইসলাম ওরফে টারজানের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত। শনিবারের ঘটনার দায় নিয়ে চলছে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চাপান-উতোর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবারের মারপিটের ঘটনায় ভরতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে দু’পক্ষই। তৃণমূল সূত্রে খবর, শনিবারই ভরতপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে বিধায়ক গোষ্ঠী। রবিবার পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে ব্লক সভাপতি গোষ্ঠী। রবিবার সকালে আক্কাস মীর নামে ব্লক সভাপতি ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে ভরতপুর থানার পুলিশ।
শনিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে হুমায়ুনের দফতরে। সেখানে ঢুকে বিধায়কের অনুগামীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে এসেছে সেই সংঘর্ষের সিসিটিভি ফুটেজও। আর এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে। এর পর বিধায়কের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হুমায়ুন। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে প্রাণে মারার চক্রান্ত হয়েছিল। কোনও ক্রমে বেঁচে গিয়েছি। ব্লক সভাপতি সব জানে। ওকে আগে গ্রেফতার করা দরকার।’’
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নজরুল পাল্টা তোপ দেগেছেন বিধায়ককে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভরতপুরের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন কাকে বিধায়ক করেছেন। হুমায়ন কবির খুন-দাঙ্গা ছাড়া কিছু বোঝে না।’’
এ নিয়ে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’