CPM Office

শাসনে ১২ বছর পর খোলা সিপিএমের পার্টি অফিসে ভাঙচুর, অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে

সিপিএমের আঙুল তৃণমূলের দিকে। তৃণমূল যদিও দাবি করেছে, সিপিএমের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই রয়েছে এ সবের নেপথ্যে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শাসন শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৩ ১৩:৫৬
Share:

শাসনে সিপিএমের এই পার্টি অফিসেই ভাঙচুরের অভিযোগ। — নিজস্ব চিত্র।

১২ বছর পর শাসনে খুলেছিল সিপিএমের পার্টি অফিস। এক মাসও কাটেনি। শনিবার রাতে সেই পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ। সিপিএমের আঙুল তৃণমূলের দিকে। তৃণমূল যদিও দাবি করেছে, সিপিএমের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই রয়েছে এ সবের নেপথ্যে।

Advertisement

শাসনে গত ২৮ এপ্রিল খুলেছিল বামেদের পার্টি অফিস। পুরনো পার্টি অফিসে রং করে বসতে শুরু করেছিলেন দলীয় কর্মীরা। তৃণমূল থেকে বেশ কয়েক জন সিপিএমে যোগদানও করেন। গত শুক্রবার তৃণমূলের দু’জন বুথ সভাপতি-সহ ২০০ জন তৃণমূল কর্মী যোগদান করেছিলেন সিপিএমে। তার পরেই বারাসত ২ নম্বর ব্লকের এক মাত্রা সিপিএম পার্টি অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, দরজা, জানালা, চেয়ার ভাঙা হয়েছে। ফেলে দেওয়া হয়েছে লাল ঝাণ্ডা।

সিপিএম নেতৃত্ব দাবি করেছেন, অভিযুক্ত ‘তৃণমূল দুষ্কৃতী’দের ধরতে না পারলে বৃহত্তর আন্দোলন করবেন তাঁরা। রাস্তায় বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। খড়িবাড়ি মধ্যমগ্রাম রোডে টায়ার জ্বালিয়ে এবং বাঁশের ব্যারিকেড করে রাস্তা অবরোধ করেন। প্রায় ৪০ মিনিট অবরোধ থাকার পর মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।

Advertisement

সিপিএমের কর্মী শেখ জাহাঙ্গির আলম বলেন, ‘‘পার্টি অফিসে অনেক মানুষ আসা-যাওয়া করছেন। তাতেই ভয় পেয়েছেন। চক্রান্ত করে আমাদের দমানোর জন্য রাতে ভাঙচুর করা হয়েছে। তৃণমূল দুষ্কৃতীরাই দায়ী।’’ শাস্তির দাবি তুলেছেন আর এক সিপিএম কর্মী সাহাবুদ্দিন আলি। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা করেছে এ সব। যাঁরা করেছেন, তাঁদের শাস্তি দেওয়া হোক।’’

তৃণমূল এ সব অভিযোগ মানেনি। জেলা পরিষদের বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলেন, ‘‘তৃণমূল হিংসার রাজনীতি করে না। নিজেরা নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল করে ভাঙচুর করে তৃণমূলের ঘাড়ে দায় চাপাতে চাইছেন।’’ তৃণমূলের এক নম্বর অঞ্চল সভাপতি মান্নান আলি বলেন, ‘‘ওঁদের দলের পার্টি অফিস, ওঁরা খুলেছেন। আমরা কিছু বলিনি। নতুন করে যাঁরা যোগ দিয়েছেন, সিপিএমের একাংশ তাঁদের মেনে নেয়নি। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরেই এ সব হয়েছে। এখন তৃণমূলের উপর দোষ চাপাচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement