নদী বাঁচানোর বার্তা নিয়ে প্রতীকী অনশন। কৃষ্ণনগরে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য
উত্তরাখণ্ডে জোশীমঠের গৃহহীন ‘পরিবেশ উদ্বাস্তুদের’ পাশে থাকতে রাস্তায় নামলেন কৃষ্ণনগরের মানুষ। রবিবার কৃষ্ণনগরের ফোয়ারার মোড়ে মঞ্চ বেঁধে প্রতীকী অনশনও করলেন শহরের পরিবেশকর্মীরা।
সেই সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কৃষ্ণনাগরিকদের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করলেন জোশীমঠের অনশনরত গৃহহীনেরা। তাঁরা এ দিন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাইকে বক্তব্য রাখেন। তুলে ধরেন জীবনের করুণ কাহিনি। সেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা কৃষ্ণনগরবাসীদের আরও বেশি করে পরিবেশ নিয়ে সচেতন ও সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন।
বেশ কয়েক বছর ধরে জলঙ্গি নদীকে বাঁচিয়ে রাখতে সক্রিয় হয়েছে কৃষ্ণনগরের একাধিক সংগঠন। আন্দোলন সংগঠিত করার পাশাপাশি তারা বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করে আসছে। মূলত তাদের চাপেই জলঙ্গি নদীতে বাঁধাল দেওয়া, নদীকে ধ্বংস করে এমন একাধিক বিষয় বন্ধ হয়েছে। এ বার তারা জোশীমঠে ঘর-বাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়া মানুষের পাশে থাকার জন্যও সক্রিয় হয়েছে। এ দিনের এই কর্মসূচির আয়োজন করেছিল ‘জলঙ্গি নদী সমাজ’। সেখানে মঞ্চ বেঁধে প্রায় ১৩ জন অনশন করেন। মঞ্চের বাইরেও প্রায় ৭০ জনের মতো পরিবেশকর্মী প্রতীকী অনশন করেন বলে আয়োজকদের দাবি। এ দিন পরিবেশের উপরে দু’টি পথনাটিকা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, জলঙ্গি নদীকে রক্ষা করতে বাঁধাল দেওয়া বন্ধের দাবির পাশাপাশি নদীতে কচুরিপানা দিয়ে ঘিরে ‘কোমড়’ তৈরি করে মাছ ধরা, ইটভাটার জন্য নদী তীর থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কাটা, নদীবক্ষ বুজিয়ে চাষ বন্ধ করতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
সংগঠনের পক্ষে কৌশিক সরকার বলছেন, “পরিবেশ কোনও বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। আমরা তাই শুধু জলঙ্গি নদী নিয়েই সরব হব না, যেখানেই পরিবেশকে ধ্বংস করা হোক না কেন আমরা আন্দোলন করব। প্রতিবাদ করব।”