অপেক্ষা। নিজস্ব চিত্র
জেলার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছিল এই এলাকা থেকেই। সালারের সেই ক্যানসার আক্রান্ত বৃদ্ধের করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ার পর এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, সেই সময় তাঁদের ভরসা জুগিয়েছেন ভরতপুর-২ ব্লকের সালার গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাতেই আশ্বস্ত বোধ করেছেন ব্লকের সাতটি অঞ্চলের লক্ষাধিক বাসিন্দা।
ঝাঁ চকচকে দোতলা হাসপাতাল ভবন। রয়েছেন চারজন চিকিৎসক, ১২ জন নার্স এবং আরও কয়েক জন স্বাস্থ্যকর্মী। সূত্রের খবর, সপ্তাহে ছ’দিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসক রোগী দেখেন। প্রতিদিন প্রায় তিনশো রোগী সেখানে ডাক্তার দেখাতে আসেন। রবিবার জরুরি বিভাগ চালু। দু’জন চিকিৎসক ও নার্স রোগীদের চিকিৎসা করেন। হাসপাতালের অন্তর্বিভাগে ৩০টি শয্যা আছে। তবে রোগীর চাপ থাকায় মাটিতেও রোগীদের রাখতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন শেখ বলেন, “সালার হাসপাতালে করোনাভাইরাসের সময় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সপ্তাহভর চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের এলাকায় বর্তমানে আরও বেশ কয়েকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সতর্ক হলে যে এই রোগ এড়ানো সম্ভব, ডাক্তারবাবুরা সব সময় আমাদের সেকথা বলছেন।’’ কয়েক দিন আগে নির্দেশ জারি হয়েছে, হাসপাতালে ঢোকার সময় সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুতে হবে সকলকে। সে জন্য হাসপাতালের প্রধান গেটের বাইরে জল ও সাবানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকলেই নিয়ম মেনে হাসপাতালে ঢুকছেন। ভরতপুর-২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সত্যজিৎ সরকার বলেন, “করোনা থেকে বাঁচতে সতর্কতাই একমাত্র পথ। সেটাই সকলকে বোঝানো হচ্ছে।’’