স্টেশনে পুণ্যার্থীদের ভিড়। ছবি: পিটিআই।
কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের পর কেটে গিয়েছে আট ঘণ্টা। ঘটনাস্থল জুড়ে বর্তমানে কেবলই হাহাকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শশব্যস্ত প্রশাসন। প্রাথমিক ভাবে খবর ছড়িয়েছিল, কুম্ভমেলার জন্য পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন (সাবেক মুঘলসরাই) থেকে প্রয়াগরাজগামী বিশেষ ট্রেনগুলির পরিষেবা সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে। যদিও বুধবার সকালে রেল মন্ত্রককে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, কোনও বিশেষ ট্রেনই বাতিল করা হয়নি। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত প্রয়াগরাজগামী বহু ট্রেনের অভিমুখ বদল করা হয়েছে বলে খবর।
বুধবার সকাল থেকেই পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশনে বহু মানুষের ভিড়। তাঁদের মধ্যে পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি রয়েছেন অন্য যাত্রীরাও। এএনআই জানিয়েছে, প্রয়াগরাজ ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ৩৬০টিরও বেশি ট্রেন চালানো হবে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে ‘শাহি স্নান’ করার হুড়োহুড়ি পড়ে যায় গঙ্গা, যমুনা, এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী— তিন নদীর সঙ্গমে। এমনিতেই মহাকুম্ভের ‘শাহি স্নান’ উপলক্ষে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় হয়েছিল প্রয়াগরাজে। তাই প্রবল হুড়োহুড়ির মাঝে পদপিষ্টের ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়। আহত আরও অনেক পুণ্যার্থী। দুর্ঘটনার পর পরই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। পৌঁছয় রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এর মাঝেই সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর পাশাপাশি যোগীকে ফোন করে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, সেই কারণে ঘটনাস্থলে নামানো হয়েছে র্যাফ।