পুজোর স্টলে ‘এনআরসি’ খুঁজল জনতা

লাল কাপড়ে ঘেরা বই বিপনী। কোন বাহুল্য নেই। সেখানে পুজোর ক’দিন বই বিক্রির হিড়িক দেখেই সিপিএমের এক কর্মীই বিস্মিত গলায় বলে উঠছেন, ‘‘ভাবতেই পারিনি, এত লোক আসবেন!’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বেলডাঙা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ০২:০২
Share:

ফাইল চিত্র।

সংগঠন মুখ থুবড়ে পড়লেও, ভাটা পড়েনি বাম সংগঠনগুলির বই বিক্রিতে।

Advertisement

লাল কাপড়ে ঘেরা বই বিপনী। কোন বাহুল্য নেই। সেখানে পুজোর ক’দিন বই বিক্রির হিড়িক দেখেই সিপিএমের এক কর্মীই বিস্মিত গলায় বলে উঠছেন, ‘‘ভাবতেই পারিনি, এত লোক আসবেন!’’

সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের নিরিখে তাঁদের স্টলে বই বিক্রি বেড়েছে কয়েক গুণ। এ বার প্রায় তিন লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছে। তবে, সর্বাধিক বিক্রি হয়েছে এনআরসি সংক্রান্ত বই। খুব কাছাকাছিই আছেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ‘স্বর্গের নীচি মহা বিশৃঙ্খলা’। এনআরসি নিয়ে পাঠকের উৎকন্ঠা রয়েছে। এই উৎকন্ঠা নিরসনে বই দুটো বেশি বিক্রি হয়েছে বলেই সংগঠনসূত্রে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

সিপিএম প্রতি বছরের মতো এবছরও জেলায় বইয়ের স্টল করেছিল। জেলার বিভিন্ন জায়গায় তাদের মোট ৫৩টি স্টল ছিল। পুজোর সময় ষষ্টির দিন থেকে নবমী পযর্ন্ত কোথাও দশমী পর্যন্ত চলেছে। জেলার পাঁচটি মহকুমা জুড়ে এই স্টল বসেছিল। গত বছরের তুলনায় এ বার স্টল সংখ্যা ৩৮টি বেশি। জঙ্গিপুর, লালবাগ, কান্দি, ডোমকল, বহরমপুর জুড়েই স্টলের সংখ্যা বৃদ্ধি হলেও সদর বহরমপুরে এই বৃদ্ধি সব থেকে বেড়েছে। সিপিএমের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি, স্থানীয় মানুষজনেরও দাবি, এনআরসি বা নাগরিকপঞ্জি মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মানুষ হামলে পড়ে সে সম্পর্কে দু’কথা জানতে চাইছেন। তার জেরেই এমন হুহু করে বিকোচ্ছে এনআরসি সংক্রান্ত বই।

দল সম্পর্কে তেমন আগ্রহ নেই, তবে বুদ্ধবাবু যে এখনও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু বই বিক্রিতে তা-ও স্পষ্ট। সিপিএমের এক জেলা নেতা বলছেন, ‘‘এনআরসি’র ভয় আর বুদ্ধবাবুর আগ্রহ অন্তত মানুষকে বইমুখী করেছে!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement