— প্রতীকী ছবি।
মিজ়োরামের পর এ বার রাজধানী দিল্লি। মালদহের পর এ বার মুর্শিদাবাদ। ভিন্রাজ্যে কাজে গিয়ে আবার মৃত্যু হল বাংলার বাসিন্দাদের। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দিল্লিতে রাজমিস্ত্রির কাজ চলাকালীন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিন শ্রমিক। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের সকলকেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃতরা তিন জনেই মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা। এই খবর নবাবের জেলায় পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
৪৪ বছরের গোকুল মণ্ডল, ৩১ বছরের শুভঙ্কর রায় এবং ৩৩ বছরের ইসরাইল শেখ। পেটের তাগিদে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান এবং ফরাক্কার গ্রাম থেকে দিল্লি গিয়েছিলেন। সেখানে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন তাঁরা। শুক্রবার সকালে তেমনই কাজে নেমেছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের চতুর্থ তলে তাঁরা ছাদ ঢালাইয়ের জন্য শাটারিংয়ের কাজ করছিলেন। সেই সময় ছাদে বিছানো লোহা বিদ্যুতের খোলা তারের সংস্পর্শে আসে। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিন শ্রমিক। নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে, গোকুলের বাড়ি শমসেরগঞ্জের ধূলিয়ান পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়ঘাঁটি এলাকায়। শুভঙ্করের বাড়ি ধুলিয়ানেরই ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেতবোনা গ্রামে। ইসরাইল থাকতেন ফরাক্কা থানার ইমামনগর গ্রামে। পরিবার সূত্রে খবর, মাস দু’য়েক আগে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে দিল্লি গিয়েছিলেন এই তিন জন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না। মৃত গোকুলের কাকা বৈদ্যনাথ মণ্ডল বলেন, ‘‘সকালে খবর পাই শাটারিংয়ের কাজ করতে গিয়ে লোহার রডে কারেন্ট হয়ে গিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। দু’মাস আগেই কাজে গিয়েছিল।’’ ময়নাতদন্ত শেষে রবিবার দেহ মুর্শিদাবাদে ফেরার সম্ভাবনা।