Shantipur

ভোট-ওয়ার্মআপ, বিজেপির পাল্টা সভা তৃণমূলের

ইদানীং বিজেপির তরফে বিভিন্ন পঞ্চায়েতে নানা অভিযোগ নিয়ে অবস্থান সভা করে স্মারকলিপি দেওয়া হচ্ছে। গত বুধবার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া টাউনশিপ পঞ্চায়েতেও তারা স্মারকলিপি দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২২ ১০:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সদ্য স্মারকলিপি দিয়েছে বিজেপি। তার দিন তিনেকের মধ্যে প্রায় একই জায়গায় পাল্টা সভা করে জবাব দিল তৃণমূল। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে যুযুধান দুই শিবির ওয়ার্ম আপ শুরু করে দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisement

ইদানীং বিজেপির তরফে বিভিন্ন পঞ্চায়েতে নানা অভিযোগ নিয়ে অবস্থান সভা করে স্মারকলিপি দেওয়া হচ্ছে। গত বুধবার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া টাউনশিপ পঞ্চায়েতেও তারা স্মারকলিপি দেয়। শনিবার সেই সভাস্থল থেকে সামান্য দূরে পাল্টা সভা করে তৃণমূল। দলের জেলা নেতৃত্ব, ব্লক সভাপতি ও শাখা সংগঠনের ব্লক নেতৃত্ব, অঞ্চল নেতৃত্ব, পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। পাল্টা জবাব দেওয়ার পাশাপাশি দলের বিভিন্ন শিবিরের নেতাদের এক মঞ্চে হাজির করে একতাক ছবি তুলে ধরার চেষ্টাও করা হয়েছে।।

ফুলিয়া টাউনশিপ এলাকায় তৃণমূলের উত্থান সেই বাম আমলেই। কিন্তু তাদের দুর্গে সম্প্রতি থাবা বসিয়েছে গেরুয়া শিবির। লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে এখানে বিজেপির থেকে পিছিয়ে ছিল তারা। যদিও লোকসভা ভোটের বিপুল মার্জিন কিছুটা হলেও কমেছে বিধানসভা ভোটে। তবে তৃণমূল রাজ্যে বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরলেও নদিয়ার দক্ষিণে বয়ে যাওয়া গেরুয়া ঝড় থেকে রেহাই পায়নি বেশির ভাগ পঞ্চায়েত। এই এলাকাও তার ব্যতিক্রম নয়। পঞ্চায়েত ভোটের লড়াই অবশ্য হবে ছোট ছোট বৃত্তে এবং একেবারেই নিচুতলায়। বিজেপির চ্যালেঞ্জ সম্প্রতি হাতে পাওয়া ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখা, তৃণমূলের লড়াই সেখানে হারানো জমি পুনরুদ্ধারের। আগের সভায় বিজেপির তরফে দাবি করে, কেন্দ্র উন্নয়নের জন্য যে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছে তার হিসেব দিতে হবে। তাদের অভিযোগ, শাসক দলের নেতারা সরকারি জমি দখল করছেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয় হচ্ছে। টাকার বিনিময়ে পাট্টা দেওয়ার অভিযোগ অভিযোগও তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েতের আয়-ব্যয়ের খতিয়ান প্রকাশ্যে আনার দাবিও জানানো হয়।

Advertisement

তৃণমূল নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, কেন্দ্র দিয়েছে মোটে ৫০ লক্ষ টাকার মতো। বরাদ্দ বাকি টাকার হিসাব বিজেপিকেই দিতে হবে। বিজেপির একাধিক নেতাকর্মী সরকারি জমি দখল করে রয়েছেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়। আবার ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র খতিয়ানও তুলে ধরেন নেতারা। তৃণমূলের শান্তিপুর ব্লক (বি) সভাপতি কানাই দেবনাথের দাবি, “মিথ্যা প্রচার করে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বিজেপি। ওদের কোনও অভিযোগ প্রমানিত নয়। সর্বত্রইপাল্টা সভা করে এদের আসল রূপ আমরা তুলে ধরব।” বিজেপির ৩১ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, “দুর্নীতি আর অনৈতিক কাজের জবাব চাই আমরা। আমাদের কোনও অভিযোগের ঠিক জবাব ওঁরা দেননি। উল্টে এত নেতা নিয়ে এসে সভা করার মানে অভিযোগের সত্যতা আছে এবং ওরা ভয় পেয়েছে। এটা আমাদের নৈতিক জয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement