—নিজস্ব চিত্র
সপ্তাহ খানেক আগেও কেজি পিছু দেড়শো টাকা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। গত দু’দিনে তা কমে একশোয় নেমেছে। তবে তাতে সুরাহা হওয়া তো দুরঅস্ত মানুষের হাতে পেঁয়াজ ছুঁলে ফোস্কা যেন যাচ্ছে না!
গত কয়েক দিন ধরে মুর্শিদাবাদ পুলিশও পেঁয়াজ ও আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণে নজরদারি চালাচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও বহরমপুরের কান্দি বাসস্ট্যান্ডে আনাজ বাজারে ঘুরে দেখেছে বহরমপুর থানার পুলিশ।
পেঁয়াজের দাম না কমায় মুখ্যমন্ত্রী নিজেই নেমেছেন বাজার ঘুরতে। মঙ্গলবার কলকাতার পুলিশ কমিশনারও আনাজ বাজার ঘুরে দেখেছেন। সেই একই ঢঙে বহরমপুর থানার পুলিশ গত সপ্তাহ থেকে শহরের বিভিন্ন বাজারে ঘুরছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথাও বলছে।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলছেন, ‘‘আনাজের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে গত সপ্তাহ থেকে ডিইবি ও সিআইডিকে নিয়ে গঠিত দল নজরদারি চালাচ্ছে। এ ছাড়া থানার পুলিশ বাজারগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছে।’’ কান্দিতে প্রশাসন নজরদারি চালাচ্ছে। কান্দির মহকুমাশাসক অভীক কুমার দাস বলেন, “মহকুমার প্রতিটি বাজারে প্রশাসন ও পুলিশ নজর রাখছে।” কিন্তু নজরদারি চললেও দাম কমছে কই? সে প্রশ্নের অবশ্য উত্তর মিলেনি।
মঙ্গলবার বহরমপুরে পেঁয়াজের পাইকারি দাম ছিল কেজি পিছু ৯০ টাকা। খুচরো বাজারে কোথাও ১০০ কোথাও বা ১১০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। বহরমপুরের নতুন বাজারের পাইকারি আনাজ ব্যবসায়ী সেলিম শেখ বলছেন, ‘‘গত কয়েক দিন থেকে পেঁয়াজের জোগান বাড়ার ফলে দামও কমছে। ফলে একশো টাকার মধ্যে খুচরো দামে পেঁয়াজ বিক্রি করা যাচ্ছে।’’
সপ্তাহখানেক আগে হরিহরপাড়া, নওদায় পেঁয়াজ ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে তার দু’দিন পরে দাম কমে ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মঙ্গলবারও সেই দামই ছিল। অভিযোগ, পেঁয়াজের দাম বেশি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বাজারে ঘুরলেও এ দিন জেলায় প্রশাসনের কাউকে দেখা যাচ্ছে না। খুচরো বিক্রেতারা বলছেন, ‘‘পেঁয়াজের পাইকারি দাম ৮০-৮৫ টাকা কেজি। তবে এক বস্তা পেঁয়াজে ৪-৫ কেজি পচা হওয়ার কারণে বাদ দিতে হচ্ছে। যার ফলে ১২০-১৩০ টাকা কেজিই দাঁড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার কান্দি পাইকারি বাজারে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০টাকা কেজি দরে। আর শুকনো পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি পেঁয়াজের দু’রকম দাম, তার কারণ অন্ধ্রপ্রদেশের এই সময় পেঁয়াজ উঠছে। সেটা একেবারে কাঁচা, ওই পেঁয়াজ বেশি দিন থাকবে না, নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ওই পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম।
জঙ্গিপুর কিংবা রঘুনাথগঞ্জের বাজারে এ দিন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০-১০০ টাকা কেজি। লালবাগের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০-১২০ টাকা কেজি। এদিন ডোমকলের বাজার ১০০-১২০ টাকা কেজি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে।