Shooters

তৃণমূল নেতাকে খুন করতে বাংলাদেশের ভাড়াটে খুনি! কৃষ্ণনগরে অস্ত্র উদ্ধারে ঘনাচ্ছে রহস্য

ধৃত সাদ্দাম হোসেনের থেকে ২টি দেশি বন্দুক, ৭২টি ১২ বোরের কার্তুজ এবং ১২টি ৮ মিমি কার্তুজ উদ্ধার করেছেন পুলিশ। থানারপাড়া থানায় পুলিশ আধিকারিকরা জেরা করছেন ধৃতকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২২ ২০:১৫
Share:

কৃষ্ণনগরে ধৃত দুষ্কৃতী এবং উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র। — নিজস্ব চিত্র।

বিপুল অস্ত্র উদ্ধার হল কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার থানারপাড়া থানার রানিবাজার এলাকা থেকে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে এক দুষ্কৃতীকেও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিবাজার এলাকার এক তৃণমূল নেতাকে খুন করতে বাংলাদেশের ৫ ভাড়াটে খুনিকে সুপারি দিয়েছিল সাইফুল হালসোনা গুটু নামে ওই এলাকারই এক দুষ্কৃতী। সাদ্দাম হোসেন নামে স্থানীয় ভাড়াটে খুনির মাধ্যমে গুটু যোগাযোগ করেছিল বাংলাদেশের ওই খুনিদের সঙ্গে। পুলিশ জেরা করছে সাদ্দামকে।

Advertisement

সাদ্দামের কাছ থেকে ২টি দেশি বন্দুক, ৭২টি ১২ বোরের কার্তুজ এবং ১২টি ৮ মিমি কার্তুজ উদ্ধার করেছেন পুলিশ। থানারপাড়া থানায় পুলিশ আধিকারিকেরা জেরা করছেন ধৃতকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদ্দাম আসলে শার্প শুটার। গুটু তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেজাজুল হক শাহ মিঠুকে হত্যার উদ্দেশ্যে। মোট ৭ লক্ষ টাকা বরাত পেয়েছিল সাদ্দাম। এর পর সাদ্দাম বাংলাদেশের ৫ ভাড়াটে খুনিকে সীমান্ত পার করিয়ে নিয়ে আসে এ দেশে। তাদের ৩ লক্ষ টাকা দেবে বলে কথা দিয়েছিল সাদ্দাম। সীমান্ত পেরিয়ে থানারপাড়া এলাকায় আস্তানা গড়ে বাংলাদেশের ৫ দুষ্কৃতী।

পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীরা মিঠুর যাতায়াতের বিভিন্ন জায়গায় রেইকিও করেছিল। মিঠুর বাড়ি থেকে পার্টি অফিস, পঞ্চায়েত অফিসে যাওয়ার বিভিন্ন রুট একাধিক বার রেইকি করে দুষ্কৃতীরা। গোপন সূত্র মারফত সেই খবর পৌঁছে যায় কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার এবং থানারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে। তাঁরা সাদ্দামের ফোন ট্র্যাক করে তার গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করেন। এর পর বুধবার বেলা দেড়টা নাগাদ বাহিনী নিয়ে রানিবাজারে সাদ্দামের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান চলাকালীন বাড়ির একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। ঘটনার পর থেকে পলাতক গুটু এবং বাংলাদেশের ভাড়াটে খুনিরা। পুলিশ তাদের সন্ধান চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত, পুলিশ-সহ এক তৃণমূল নেতাকে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত গুটু।

Advertisement

পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, মুর্শিদাবাদ এবং ঝাড়খণ্ড থেকে আনা হয়েছিল কার্তুজ। উদ্ধার হওয়া কার্তুজের গায়ে প্রস্তুতকারী সংস্থা হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক গান ফ্যাক্টরির নাম লেখা আছে। কেন্দ্রীয় সরকারের গান ফ্যাক্টরিতে তৈরি হওয়া কার্তুজ কী ভাবে দুষ্কৃতীদের হাতে পৌঁছচ্ছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। কী ভাবে ওই কার্তুজ হাতে এল তা জানতে সাদ্দামকে জেরা করা হচ্ছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘‘এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করা হবে।’’

বুধবারই মুর্শিদাবাদের ডোমকলের হরিশঙ্করপুর মোড় এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জলঙ্গির চান্দেরপাড়া মাঠপাড়ার বাসিন্দা আনিকুল মালিথ্যা এবং ডোমকলের চান্দেরপাড়ার বাসিন্দা সাকিবুল গাইনের থেকে একটি বন্দুক, ১২ বোরের দু’টি কার্তুজ এবং একটি ধারাল অস্ত্র পেয়েছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement