—প্রতীকী চিত্র।
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া কেটে গরু পাচারের চেষ্টা করছিল একদল বাংলাদেশি দুষ্কৃতী। ‘থার্মাল ইমেজিং’ যন্ত্রে সন্দেহভাজনদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে প্রহরারত জওয়ানদের সতর্ক করেন বিএসএফের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হল বিএসএফ জওয়ানকে। বিএসএফ সূত্রে খবর, আত্মরক্ষার্থে পাম্প অ্যাকশন গান (পিএজি) থেকে এক রাউন্ড গুলি চালান ওই জওয়ান। পাল্টা ওই দুষ্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জওয়ানকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। সংঘর্ষে মারাত্মক ভাবে জখম ওই জওয়ান। পরিস্থিতি দেখে অন্য জওয়ানেরা পিএজি থেকে গুলি চালান। কিন্তু তত ক্ষণে বাংলাদেশি দুর্বৃত্তেরা অন্ধকার এবং জঙ্গলের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায়। আহত ওই জওয়ানকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে কলকাতার এসএসকেএমের ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের নিয়ন্ত্রণাধীন নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের সুন্দর ও বাংলাদেশের প্রান্তে থাকা পালিয়ানপুর এলাকায় সোমবার মধ্যরাতে বিএসএফ এবং পাচারকারীর এই সংঘর্ষ হয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের নাম-পরিচয় জোগাড় করে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে বিজেবির শীর্ষকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলেছে বিএসএফ।
আক্রমণকারীরা ছয়-সাত জন ছিল বলে দাবি বিএসএফের। ধারালো অস্ত্র এবং তার কাটার যন্ত্র ব্যবহার করে তারা ভারতের দিকে আসার চেষ্টা করছিল। ছক ছিল গরু পাচারের। ওই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বার বার সতর্ক করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ। পাল্টা ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে এগোতে থাকে তারা। বাধা দিতে গেলে, এক বিএসএফের এক জওয়ানকে ঘিরে ধরে আক্রমণ করা হয়। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দা। বিএসএফ ঘটনাটি সম্পর্কে ধানতলা থানাকে অবহিত করেছে এবং একটি এফআইআর দায়ের করেছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি একে আর্য বলেন, ‘‘সীমান্তে পাচার করতে গিয়ে বার বার প্রতিহত হচ্ছে পাচারকারীরা। সেই ক্ষোভ থেকেই এই হামলা। পাচারকারীদের গরু পাচারের পরিকল্পনা ছিল বলে জানা গিয়েছে। কর্তব্যরত জওয়ানেরা যে সাহসিকতা প্রদর্শন করেছে তা প্রশংসনীয়। অবিলম্বে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের বিষয়ে বিএসএফ তৎপরতা দেখাবে। আহত জওয়ানের চিকিৎসার জন্য পাশে রয়েছে বিএসএফ।