ফাইল চিত্র
তেহট্ট হাসপাতাল সুপারের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব ও হুমকির অভিয়োগ তুলে স্বাস্থ্য দফতরের দ্বারস্থ হয়েছে এক নার্স। করিমপুর হাসপাতালে বদলি হওয়ার পরেও তাঁকে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ। বিচার চেয়ে নদিয়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে তেহট্ট হাসপাতালের সুপার সৈকত বসু এবং করিমপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (বিএমওএইচ) মনীষা মণ্ডলের নামে দু’বার লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। আপাতত তাঁকে চাপড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বদলি করা হয়েছে।
সোমবার কলকাতায় নার্সদের সংগঠন 'নার্সেস ইউনিটি' সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও উপযুক্ত শাস্তির দাবি তোলে। ওই নার্স জানান, ন’বছর ধরে তিনি তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, সুপার তাঁকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিলেন। কাজের পরে তাঁকে নিজের ঘরে ডাকতেন সুপার, বিরক্ত করতেন। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গালিগালাজ এবং বদলি করার হুমকিও দিয়েছেন। কোভিড অতিমারি শুরুর পরে তাঁকে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে বদলি করা হয়।
ওই নার্সের অভিযোগ, করিমপুরে বদলি হওয়ার পরে সেখানকার বিএমওএইচ মনীষা তাঁকে নানা ভাবে হেনস্তা করতে শুরু করেন। গত ১৬ এপ্রিল মনীষার বিরুদ্ধে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। তার পরে অত্যাচার আরও বেড়ে যায়। ফের ১৪ তিনি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে অভিযোগ জানান। কিন্তু এর পরেও কোনও ব্যবস্থা হয়নি। ‘নার্সেস ইউনিটি’র সম্পাদক ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্তদেরশাস্তির দাবিতে আমরা স্বাস্থ্য ভবনে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি।“
বিএমওএইচ মনীষা মণ্ডলকে ফোন করা হলে তিনি ‘অফিসে এসে কথা বলুন’ বলে কেটে দেন। তবে তেহট্ট হাসপাতালের সুপার সৈকত বসু দাবি করেন, “মিথ্যা অভিযোগ। আমি কাউকে কোনও কুপ্রস্তাব দিইনি। করিমপুর বিএমওএইচ-এর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগও ভিত্তিহীন।“ বারবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন ধরেননি।