রেজিস্ট্রি করে বিয়েতেও ভিড়। রঘুনাথগঞ্জে। নিজস্ব চিত্র।
বিয়ে বাড়িতে ভিড় ভাঙল নিমন্ত্রিতদের। শহরে শতাধিক অনুষ্ঠানবাড়ি রয়েছে। বিয়ে ও বৌভাত উপলক্ষে আনলকপর্বে ছাড় মিলতেই সেই বাড়িগুলি নভেম্বর ডিসেম্বরের জন্য বুকিং হয়ে গিয়েছিল। তা ছাড়াও অনেকে কোভিডবিধি মানতে বাড়িতে প্যান্ডেল করে অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেছেন। কিন্তু তাঁরা অনেকেই অতিথিদের সংখ্যা কমাতে না পারায় সেখানেও ভিড় হচ্ছে বিধি ভেঙেই। শুধু তাই নয় ওই সমস্ত অনুষ্ঠানবাড়িতে বয়স্ক ও শিশুদেরও অবাধ বিচরণ চোখে পড়েছে। এমনকি খাওয়াদাওয়া পরিবেশনের ক্ষেত্রেও সেই সব জায়গায় নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। একটি অনুষ্ঠানবাড়ির মালিক জানালেন, অগ্রহায়ণ মাসে বৃহস্পতিবারই ছিল শেষ বিয়ের দিন। এর পরে পৌষ পড়ে যাবে, বিয়ে হবে না। তাই ইংরেজি বছরের শেষ বিয়ের দিনও ছিল বৃহস্পতিবারই। তাতেই ভিড় মাত্রাছাড়া হয়েছে। এক ক্যাটারার সংস্থার মালিক নিমাই ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা সতর্ক হয়েই পরিবেশন করছি। সুরক্ষাবিধি মানতে অনুরোধ করছি নিমন্ত্রিতদেরও। কিন্তু আমন্ত্রিতরা সেই নিয়ম লঙ্ঘন করছেন।”
মাস্কের বাধ্যতামুলক ব্যবহারও ভুলেছেন অতিথিরা। ফলে সুরক্ষাবিধি ভেঙে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ডেকোরেটরদের সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক নির্মল চক্রবর্তী বলেন, “অনেকেই সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা সীমাবদ্ধতার মধ্যে রাখতে পারছেন না। অন্য দিকে লকডাউনের জেরে দীর্ঘ দিন বসে থাকার কারণে ডেকোরেটর, ক্যাটারারদের পেটের দায়ে বাধ্য হয়েই এই কাজে শামিল হতে হচ্ছে। ফলে বিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না।”
বহরমপুর পুরসভার অধীন দুটি অনুষ্ঠান বাড়ি আছে শহরে। একটি ইন্দ্রপ্রস্থে অন্যটি নতুন বাজারে। সেখানেও ভিড় উপছে পড়েছে। যদিও তা মানতে রাজি হননি বহরমপুর পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক শান্তিকুমার রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, “প্রত্যেককেই কোভিড নিয়ম মেনে সামাজিক অনুষ্ঠান করতে বলা হয়েছে। বেশিরভাগ জন সেই নিয়ম মানছেন। যারা মানছেন না তাঁদের সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে।”
তবে রঘুনাথগঞ্জে রেজিস্ট্রি করে বিয়ের অনুষ্ঠান এ দিন দেখা গিয়েছে। ভিড় এড়াতেই সেই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন অনেকে বরকর্তা।