—প্রতীকী চিত্র।
রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক লরি চালকের। নাম আশিস মণ্ডল (৫০)। বাড়ি কালীগঞ্জে। সোমবার দুপুরে ধুবুলিয়ার সিংহাটি মোড়ের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ঝোপ থেকে পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। শনিবার ওই এলাকাতেই দুর্ঘটনায় পড়েছিল তাঁর লরি। সেখান থেকে প্রায় দুশো মিটার দূরে মৃতহেদটি পাওয়া যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতদেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, একটি পা-ও ভাঙা। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি শক্তিনগর পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ধুবুলিয়া থানা ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে আশিস ভাঙাচোরা লোহা (ভাংরি) বোঝাই লরি নিয়ে নবদ্বীপ যাচ্ছিলেন। সিংহাটির কাছে জাতীয় সড়কের কলকাতামুখী রাস্তায় ‘নো-এন্ট্রি’ থাকায় তিনি লরি দাঁড় করিয়ে রাখেন। সেই সময়ে পিছন দিক থেকে একটি লরি এসে তাঁর লরিতে ধাক্কা মার। লরিটি উল্টে না গেলেও রাস্তার পাশে নিচু জায়গায় নেমে যায়। খবর পেয়ে ধুবুলিয়া থানার পুলিশ আসে। কিন্তু আশিসের সন্ধান মেলেনি। রবিবার সকালে ধুবুলিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল।
এ দিন খবর পেয়ে আশিসের বাড়ির লোকজন এসে মৃতদেহটি শনাক্ত করেন। তাঁদের দাবি, শনিবার রাতে আশিস বাড়িতে ফোন করে কথাও বলেন। তবে তার পর তাঁর মোবাইল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা আর যোগাযোগ করতে পারেননি। তাঁর ভাই সুজয় মণ্ডল বলেন, “আমরা চাই, পুলিশ তদন্ত করে দাদার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে বার করুক। যে লরিটা দাদার লরিতে ধাক্কা মেরেছিল, তার চালককে ধরে জেরা করলেই আসল কারণ জানা যাবে।”
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, দুর্ঘটনার পর জাতীয় সড়ক পার হওয়ার সময়ে অন্য কোন গাড়ি আশিসকে ধাক্কা মেরে থাকতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সে ক্ষেত্রে তিনি কেন রাস্তার পাশে ঝোপে পড়ে থাকবেন বা নিজেকে লুকিয়ে রাখবেন? কেনই বা মোবাইল বন্ধ রাখবেন? অন্য লরির চালকের সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।