—প্রতীকী ছবি।
প্রচণ্ড ভিড়ে ট্রেন থেকে নামতে পারছিলেন না মহিলা। তাঁর কোলে আবার এককত্তি। কোনও রকমে সন্তানকে বাঁচিয়ে ঠেলেঠুলে নামার সময় চলতে শুরু করল ট্রেনটি! মহিলা টাল সামলাতে না পেরে পা ফঁসকে প়ড়ে যেতে ঘটল বিপত্তি। ট্রেনে কাটা প়ড়ে মৃত্যু হল তাঁর। কিন্তু কোনও ক্রমে ছিটকে প্ল্যাটফর্মে গিয়ে পড়ায় প্রাণ বাঁচল একরত্তির। বুধবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় ঘটনাটি ঘটেছে। মর্মান্তিক ঘটনার পর মহিলাকে উদ্ধার করে বেলডাঙা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে বেলডাঙা স্টেশনে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে দরজা থেকে ছিটকে ট্রেনের নীচে চাপা পরে মৃত্যু হয় বছর পয়তাল্লিশের ওই মহিলার। রেল পুলিশ সূত্রে খবর, আপ কৃষ্ণনগর-লালগোলা ট্রেনে করে পলাশি থেকে ফিরছিলেন চন্দনা ঘোষ নামে ওই মহিলা। বেলডাঙা স্টেশনে নামতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ট্রেনটিতে ভিড় থাকায় নামতে গিয়ে পা পিছলে পরে যান ওই মহিলা। তাঁর সঙ্গে ছিল ছ’বছরের একটি শিশু। দুর্ঘটনার সময় কোল থেকে ছিটকে পড়ে সে। যদিও কোনও রকম ক্ষতি হয়নি তার। প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত অন্য যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেনের গার্ডের গাফিলতিতেই দুর্ঘটনা। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে পরিবার।
মৃত গৃহবধূর আত্মীয় রমেশ ঘোষ দাবি করেন, ‘‘যখন যাত্রীরা ভিড় করে ট্রেন থেকে নামছিল, তখন ট্রেন চালানো উচিত হয়নি। এর জন্য রেলকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’’ রেল সূত্রের বক্তব্য, রেল পুলিশ ও রেল নিরাপত্তা বাহিনী তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে।