টিপ সই দিয়ে উঠবে টাকা
thumb impression

ডাকঘর থেকে টাকা তোলায় নজির জেলার

ডাকঘরে ইন্টারনেট লিঙ্ক পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকায় এই সমস্যা আরও ব্যাপক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সুতি শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:২৩
Share:

ডাকমেলা, নিমতিতায়। নিজস্ব চিত্র।

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা টাকা ডাকঘর থেকে তোলার ক্ষেত্রে রাজ্যের মধ্যে রেকর্ড গড়ল মুর্শিদাবাদ ডিভিশন। ব্যাঙ্কের ২৫৫৩ জন গ্রাহককে বুধবার জেলার বিভিন্ন ডাকঘর থেকে ২৩.৩৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করল ডাক বিভাগ।

Advertisement

মুর্শিদাবাদ ডিভিশনের পোস্টাল সুপার প্রবাল বাগচী জানান, যে কোনও ব্যাঙ্কের গ্রাহক তাঁর অ্যাকাউন্টে আধার কার্ডের সংযোগ থাকলে ডাকঘরের যে কোনও শাখা থেকে নিজের টিপসই ব্যবহার করে টাকা তুলতে পারবেন। এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে সারা রাজ্যেই। কিন্তু একদিনে ২৫৫৩ জনের এইভাবে টাকা তোলার সুযোগ নেওয়ার ঘটনায় মুর্শিদাবাদ ডিভিশন রাজ্যকে ছাপিয়ে গেল। এরপরই রয়েছে বাঁকুড়া জেলা। সেখানে ৯৭২ জন এই সুবিধা নিয়ে ১৮ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার নিমতিতায় একটি ডাক মেলার উদ্বোধন করে এই সাফল্যের কথা জানান বিভাগীয় সুপার প্রবালবাবু। তিনি বলেন, ‘‘জেলায় তিনটি মুখ্য ডাকঘরের অধীনে ৮১টি উপ ডাকঘর এবং ৪৯৪টি গ্রামীণ ডাকঘর রয়েছে। এর মধ্যে এখনও ২৪টি উপ ডাকঘর-সহ তার অধীনে শতাধিক গ্রামীণ ডাকঘরকে কোর ব্যাঙ্কিং সলিউশনের অধীনে আনা যায়নি। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে তা চালু হওয়ার কথা থাকলেও করোনা আবহে কিছু সমস্যায় তা করা যায়নি। এক বছরের মধ্যে সব ডাকঘরকেই কোর ব্যাঙ্কিংয়ের আওতায় আনা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisement

তিনি জানান, ডাকঘরে ইন্টারনেট লিঙ্ক পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকায় এই সমস্যা আরও ব্যাপক। কারণ, জেলার সমস্ত ডাকঘরে এখন বিএসএনএলের টুজি লিঙ্কে কাজ চলছে। অথচ বিভিন্ন ব্যাঙ্ক-সহ সর্বত্র দ্রুতগতির নেটে কাজ চলে। মুর্শিদাবাদে একটি সংস্থার মাধ্যমে আপাতত ২৪টি ডাকঘরে ফোর-জি ব্যবস্থা চালুর অনুমোদন মিললেও জেলায় একটিমাত্র ডাকঘর ভরতপুরে ওই নেট সংযোগে কাজ চালু করা গিয়েছে।

ডাক বিভাগের জঙ্গিপুরের পরিদর্শক আশিস হালদার বলেন, ‘‘গ্রামীণ ডাকঘরগুলি থেকে এখন সমস্ত রকম সুবিধা চালু হয়েছে। প্রত্যেক ডাকঘরকে মেন কম্পিউটিং ডিভাইস (এমসিডি) দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে ডাকঘরের সমস্ত কাজ করতে পারবে গ্রামীণ ডাকঘরগুলিও। কিন্তু অভিযোগ আসছে বহু ডাকঘর সে কাজ না করে গ্রাহকদের হয়রান হতে হচ্ছে। বারকোডের সমস্যার কথা জানিয়ে কাজ করা হচ্ছে না। কোথাও বারকোড না থাকলে পাশের ডাকঘর থেকে তা নিতে হবে। কিন্তু গ্রাহকদের কোনওমতেই ফেরানো যাবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement