ফাইল চিত্র।
রাজ্য সরকারের 'উৎকর্ষ বাংলা' প্রকল্পে প্রশিক্ষণ দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলা ও কলকাতায় অনলাইন ও অফলাইন বিভিন্ন সংস্থায় কাজ দিতে উদ্যোগী হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন। সেই মতো ব্লক স্তরে পরিযায়ী শ্রমিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে কাজের জন্য বলাও হচ্ছিল। কিন্তু ভগবানগোলা-১ ব্লকে সাড়া মিলল মাত্র ছ'জন পরিযায়ীর। পরে ওই ছয় জন পরিযায়ী শ্রমিক শেষ পর্যন্ত কাজে যুক্ত হবেন কি না তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে ব্লক প্রশাসনের মধ্যে।
জেলার একাধিক ব্লকেই 'উৎকর্ষ বাংলা' প্রকল্পে অনলাইন ও অফলাইন শপে কাজ দেওয়া নিয়ে পরিযায়ীদের তরফে এখনও তেমন সাড়া মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে জেলা প্রশাসন সূত্রে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, লকডাউনের সময় যখন পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরছিলেন ওই সময় জেলায় তাদের একটা তালিকা তৈরি করা হয়। তারপর প্রথমে পরিযায়ী শ্রমিকদের একশো দিনের কাজের মাধ্যমে কাজ দেওয়া হয়। তারপর জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয় অনলাইন ও অফলাইন শপে শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে কাজের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে পরিযায়ীদের।
রবিবার জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) সিরাজ দানেশ্বর জানান, প্রথম যখন পরিযায়ী শ্রমিকরা জেলায় ফিরে আসেন তখনই জেলা স্তরে পরিযায়ীদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। তারপর সেই তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয় ব্লক স্তরে এবং ব্লক অফিস থেকে যারা অনলাইন ও অফলাইন শপের বিভিন্ন বিভাগে কাজের জন্য যোগ্য তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়। তারা কলকাতায় গিয়ে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে কাজ পাবে। সেপ্টেম্বর মাসের দশ তারিখের মধ্যে আগ্রহী পরিযায়ীদের তালিকা তৈরি হয়ে যাওয়ারও কথা ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলছেন, ‘‘একাধিক পরিযায়ী শ্রমিক জানিয়েছেন, তাঁরা ভিন রাজ্যেই ফিরে যাবেন।’’
পরিযায়ী শ্রমিকরা জানাচ্ছেন, তাঁদের যে বেতনের কথা জানানো হচ্ছে তা ভিন রাজ্যের রোজগারের চেয়ে অনেক কম। ভিন রাজ্যে কুড়ি থেকে তিরিশ হাজার টাকা মাসে রোজগার হয়। এখানে বাড়িতে থাকার সুবিধা পেলেও, রোজগার তা হবে না।
এদিন ভগবানগোলা-১ ব্লকের এক পরিযায়ী শ্রমিক মুক্তার শেখ বলেন, ‘‘যে টাকা বেতন পাব, সেই টাকার থেকে ভিন রাজ্যে কাজের টাকা অনেক বেশি। কাজেই ওই কাজে আমি যেতে রাজি নয়।"
জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক (জেলা পরিষদ) সুদীপ্ত পোড়েল বলেন, ‘‘এই কাজে যাতে পরিযায়ীরা উৎসাহী হয় সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।’’