প্রতীকী ছবি।
লুডো খেলাকে কেন্দ্র করে বিবাদে এক ব্যক্তিকে ছুরি দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে শমসরেগঞ্জের ভাসাইপাইকর গ্রামে। গুরুতর আহত সফিকুল ইসলামকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক।
ঝাড়খণ্ড সীমানা ঘেঁষা গ্রাম ভাসাইপাইকর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অন্য রাজ্যে সীমানাবর্তী এই গ্রামে জুয়া-সাট্টা এবং অন্য অপরাধ লেগেই আছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাতে এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে লুডো খেলছিল কয়েক জন স্থানীয় যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েক জনের দাবি, ওই যুবকেরা মত্ত অবস্থায় ছিল। লুডো খেলা চলাকালীন ঘুঁটির চাল দেওয়া নিয়ে সফিকুল নামে এক যুবকের সঙ্গে বচসা বাধে কাবাব আনসারি নামে আরেক জনের। সম্পর্কে এরা তুতো ভাই। জানা গিয়েছে, প্রথমে বচসা পরে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। অভিযোগ, এই সময় কাছে থাকা একটি ছুরি দিয়ে সফিকুলকে একাধিক বার কোপায় কাবাব। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সফিকুল। সেই সময় চায়ের দোকানে উপস্থিত কয়েক জন কাবাবকে আটকান। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁরাই সফিকুলকে অনুপনগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা করেন সফিকুলের। তবে আঘাত গুরুতর হওয়ায় পরে ওই যুবককে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহত যুবকের অবস্থা সঙ্কটজনক।
এদিকে, ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা যখন সফিকুলকে ব্যস্ত, সেই সুযোগে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত কাবাব। তবে ওই গ্রামে মদ-জুয়া-সাট্টার রমরমা বাড়লেও পুলিশ পদক্ষেপ করে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ভাসাইপাইকর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল শাহিদ বলেন, ‘‘আমরা গ্রামবাসীরা বহু চেষ্টা করেও মদ-জুয়ার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে পারছি না। আমরা এতজোট হয়েও এটা ঠেকাতে পারছি না। পুলিশও ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে রয়েছে। নেশার দ্রব্যের জন্য মারামারি, হাতাহাতি—সবই হচ্ছে। গ্রামের অনেক বহু মনোহারি দোকানেও নেশার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। গ্রামেরপ অল্পবয়সী যুবকদের হাতে সেই সব নেশার দ্রব্য পৌঁছে যাচ্ছে। পুলিশ খবর পেয়ে গ্রামে এলে তার আগেই ব্যবসায়ীরা সেই সব জিনিস অন্যত্র সরিয়ে ফেলছেন।’’
যদিও শমসেরগগঞ্জ থানার ওসি অমিত ভকত জানান, ভাসাইপাইকর গ্রামে মদ-জুয়া ঠেকাতে তাঁরা সচেষ্ট। এদিনের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দুই খুড়তুতো ভাইয়ের মধ্যে লুডো খেলাকে ঘিরে বচসা বেধেছিল। তার থেকেই ছুরি মারার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত পলাতক। তবে খুব শীঘ্রই সে ধরা পড়বে।’’