—প্রতীকী চিত্র।
নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রেমিকাকে। সেখানে বার কয়েক তাঁর সঙ্গে শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হন যুবক। কিন্তু প্রেমিকা বিয়ের কথা বললে তাকে সকালবেলাই বাড়ি থেকে তিনি বার করে দেন বলে অভিযোগ। ওই অপমান এবং অভিমানে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করে নাবালিকা। শনিবারের ওই ঘটনার তিন দিন পর প্রেমিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মতো একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদের কান্দির ঘটনা।
শনিবার নিজের বাড়িতে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে আত্মঘাতী হয় এক নাবালিকা। ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় কান্দির এক গ্রামে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছেন এক যুবক। তার পর বিয়ে করতে অস্বীকার করেন তিনি। সেখান থেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় নাবালিকা। শনিবারই মৃত্যু হয় তার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৃতার এক আত্মীয় বলেন,‘‘নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল গ্রামের বাসিন্দা এক যুবকের। বাড়ির সবাই জানতাম। কিন্তু শুক্রবার রাতে আমাদের মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় ওই যুবক। বিয়ের কথা বলে সারারাত ধরে মেয়েটির উপর যৌন নির্যাতন চালায়। এমনকি, পরের দিন সকাল হতেই ওকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। তার পরেই বাড়ি ফিরে অপমানে আত্মঘাতী হয় আমাদের মেয়ে।’’
মেয়েটির মৃত্যুর পর থানায় অভিযোগ করে পরিবার। কিন্তু প্রথমে অভিযুক্তকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। তিন দিন পর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে কান্দি থেকে ধরা হয় তাঁকে। আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এ নিয়ে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ হচ্ছে। তদন্ত চলছে।’’