TMC Murder

রাস্তা নিয়ে বচসা, তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে গোসাবায় গ্রেফতার চার ঠিকাদার!

সরকারি নির্দেশ মেনে সঠিক ভাবে রাস্তা তৈরি হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল কর্মী মুছাক। সে কারণে তাঁকে লাঠি, রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হলেন চার জন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

গোসাবা শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পথশ্রীর অধীনে রাস্তা তৈরি করাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার রাধানগর এলাকায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন মোট চার জন। ধৃতেরা সবাই রাস্তা তৈরির ঠিকাদার বলে দাবি করেছেন গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মণ্ডল। অন্য দিকে, মৃত তৃণমূল কর্মী মুছাক আলি মোল্লার স্ত্রীর অভিযোগ, ওই ঠিকাদাররা আগে বিজেপি করতেন এখন বিধায়কের গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁরা যুক্ত। তাঁর অভিযোগ অবশ্য নস্যাৎ করে দিয়েছেন বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে বদনাম করার জন্য ওঁকে দিয়ে এ সব বলানো হচ্ছে।’’ বিজেপি আবার ওই খুনের ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের দিকেই আঙুল তুলেছে। তাদের বক্তব্য, এলাকার জেলাপরিষদ সদস্য অনিমেষ বৈদ্য এবং বিধায়কের মধ্যে দীর্ঘ দিনের বিবাদ। যিনি মারা গিয়েছেন, তিনি জেলা পরিষদ সদস্য অনিমেষের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

Advertisement

গোসাবা বিধানসভার রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি রাস্তা তৈরিকে কেন্দ্র করে বিবাদের সূত্রপাত। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, রাস্তা তৈরির কাঁচামালের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুছাক। সরকারি নির্দেশ মেনে সঠিক ভাবে রাস্তা তৈরি হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন মুছাক। সে কারণে তাঁকে লাঠি, রড দিয়ে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে মঙ্গলবার। ধৃতদের নাম ফারুক বৈদ্য, রউফ মোল্লা, ইমরান মোল্লা এবং আনার জমাদার। মঙ্গলবার তাঁদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা জানান, চক্রান্ত করে তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে। ওই ঘটনার সময় তাঁরা এলাকাতেই ছিলেন না। পাশাপাশি, ধৃতেরা নিজেদের তৃণমূলের লোক বলে দাবি করেন। যদিও এলাকার বিধায়ক সুব্রত দাবি করেন, খুনের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।

ওই ঘটনা প্রসঙ্গে জয়নগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সর্দারের কটাক্ষ, ‘‘কে কত টাকা খাবে তাকে কেন্দ্র করেই এই বিবাদ এবং খুন। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলেরই এটা ফল।’’ একই কথা বলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আরএসপি নেতা সুভাষ নস্করও। তিনি বলেন, ‘‘নিজেদের মধ্যে মারামারি করে এক জনকে খুন করা হল। সারা রাজ্য জুড়েই এমন ঘটনা ঘটছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement