Krishnagunj Murder

স্বপ্না খুনে হদিস নেই জয়দেবের, উধাও ফোন

খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে এসেছিল, তারও কোনও সদুত্তর এখনও তদন্তকারীদের কাছে নেই। স্বপ্নার ছেলের সঙ্গে শনিবারও কথা বলেছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণগঞ্জ শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:০১
Share:

ফাইল চিত্র

গোটা দুটো দিন পেরিয়ে গেলেও কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের স্টাফ নার্স স্বপ্না বিশ্বাস খুনে অভিযুক্ত তাঁর স্বামী জয়দেব বিশ্বাসের নাগাল পায়নি পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যাতে জানানো হয়, স্বর্ণখালি বাজারের ওই ব্যবসায়ী ফেরার। খোঁজ মেলেনি স্বপ্নার মোবাইল ফোনেরও। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এক যুবকের সঙ্গে মোবাইলে কথা এবং হোয়াটসঅ্যাপ চালাচালি নিয়ে স্বপ্নার সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি হত জয়দেবের। কিন্তু সেই যুবকটি কে, তাঁর সঙ্গে স্বপ্নার সম্পর্কই বা কী, তা স্পষ্ট হয়নি। স্বপ্নার ফোনের খোঁজ পাওয়া গেলে এই জট অনেকটাই কাটবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার রাতে ১০ বছরের ছেলের সামনেই জয়দেব রিভলভার বের করে স্বপ্নার পেটে গুলি করে বলে অভিযোগ। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই উধাও স্বপ্নার ফোন। জয়দেবই সেটি নিয়ে গিয়েছেন নাকি তা অন্য কোনও হাতে চলে গিয়েছে, পুলি‌শ তা জানতে পারেনি।

Advertisement

খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে এসেছিল, তারও কোনও সদুত্তর এখনও তদন্তকারীদের কাছে নেই। স্বপ্নার ছেলের সঙ্গে শনিবারও কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার দিন ঠিক কী হয়েছিল তা বোঝার চেষ্টা করেছেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, স্বর্ণখালি বিবেকানন্দ হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ওই বালক এখন রয়েছে মামার বাড়িতে। স্বপ্নার বাবা সুদর্শন বিশ্বাস বলেন, “মাঝে-মধ্যেই মায়ের কথা উঠলে ও কেঁদে ফেলছে। আর বলছে, ‘মা আমার পায়ে মাথা দিয়ে পড়ে গেল’। ওর কী হবে!”

স্বর্ণখালি পাইকপাড়ার বাসিন্দা সুদর্শন বিশ্বাসের দুই মেয়ের মধ্যে স্বপ্নাই ছোট। ছেলে চাকরি করেন পোস্ট অফিসে। জয়দেবের সঙ্গে বিয়ের পরেই চাকরি পেয়েছিলেন স্বপ্না। সুদর্শনের অভিযোগ, “এই বিয়েতে খুব একটা রাজি ছিলাম না আমরা। মেয়েকে বিয়ে করার জন্য বারবার নানা রকম হুমকি দিত জয়দেব। বিয়ের পরেও অত্যাচার করত।” তাঁর বক্তব্য, “মেয়ে নার্সের চাকরি করত। সেই কাজের জন্য চিকিৎসক থেকে শুরু করে দফতরের অন্য কর্মীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখতে হত। অথচ তা নিয়েই সন্দেহ করত জয়দেব।” ফাইল চিত্র

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement