মহকুমা শাসকের উপস্থিতিতে লালবাগ সদর ঘাটে ছাড়া হল মাছের চারা। নিজস্ব চিত্র।
আইসিএআর-সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিশারিজ় রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ব্যারাকপুর) জলশক্তি মন্ত্রকের অধীনে জাতীয় মিশনের জন্য গঙ্গা এবং জাতীয় নদী রেঞ্চিং প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে জেলার লালবাগে বুধবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যার মূল লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সংরক্ষণ এবং গঙ্গা নদীর পুনরুদ্ধারের দিকে মনোনিবেশ করা। বুধবার সকালে লালবাগ সদর ঘাটে লক্ষাধিক রুই, কাতলা, মৃগেল মাছের চারা ছাড়া হয়। নদীতে মাছের ডিম মারাত্মক ভাবে হ্রাস পাচ্ছে। কমছে রুই,কাতলা, মৃগেলের মতো অতি পরিচিত মাছের সংখ্যাও। ফলে লক্ষাধিক মৎস্যজীবী আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। মুর্শিদাবাদ ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও মাছের চারা ছাড়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এ দিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লালবাগের মহকুমাশাসক বনমালী রায়। তিনি বলেন, “দুই লক্ষেরও বেশি মাছের পোনা নদীতে ছাড়া হল। আগামী দিনে মাছের উৎপাদন যাতে বেশি হয়, সেই উদ্দেশ্য নিয়েই মাছের চারা ছাড়া হচ্ছে।” এর পাশাপাশি মাছ চাষিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “মাছ চাষিরা অনেক সময় ছোট ছোট চারা পোনাগুলি ধরে ফেলেন, সেদিকে আমরা এ বার বিশেষ নজরদারি চালাব।” যাতে অসাধু উপায়ে কেউ ছোট মাছের চারাগুলি ধরে না নেয় সেদিকে অন্যান্য মাছ চাষীদেরকে সচেতন হতে বলেন। আইসিএআর- এর সিনিয়র সায়েন্টিস্ট দিবাকর ভক্ত বলেন, “এ বছর আমরা প্রায় ৬০ লক্ষ মাছের চারা ছাড়ব।” তিনি জানান এ দিন তাঁরা তিন লক্ষ মাছের চারা ছেড়েছেন। উপস্থিত মাছ চাষিরা এমন উদ্যোগে খুশি হয়েছেন।