—প্রতীকী ছবি।
মধ্যরাত থেকে প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছেন সন্তানসম্ভবা স্ত্রী। তাই শুক্রবার ভোরে টোটোয় স্ত্রীকে নিয়ে জেলা হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন স্বামী। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে কৃষ্ণনগর আসার পথে নাকাশিপাড়ার কাছে একটি পাথরবোঝাই লরি পিষে দেয় দুই আরোহী-সহ টোটো চালককে। কার্যত থেঁতলে যান টোটোতে থাকা মহিলার স্বামী। গুরুতর জখম হন সন্তানসম্ভবা মহিলা এবং টোটোচালক।
স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বেথুয়াডহরি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে তিন জনকেই শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গুরুতর আহত মহিলার স্বামী আবু তালেব শেখকে (২৮) মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃতের স্ত্রী নাজিরা খাতুন (২৫) এবং টোটোচালক হামিদ শেখ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নাকাশিপাড়া থানা এলাকার বিক্রমপুরের গৃহবধূ নাজিরা খাতুন বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই প্রসবযন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন। রাত বাড়লে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শুক্রবার ভোর পাঁচটা নাগাদ স্থানীয় টোটোচালক হামিদের টোটোয় স্ত্রীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তালেব। গন্তব্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল। কিছু দূর এগোতেই নাকাশিপাড়ার বামনডাঙা এলাকায় একটি পাথরবোঝাই লরি টোটোটিকে পিষে
অন্তঃসত্ত্বা মহিলার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। ঘাতক গাড়িটিকে আটক করতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্তও। মৃত ব্যক্তির আত্মীয় সইদ শেখ বলেন, “বৌমার প্রসবযন্ত্রণা ওঠায় ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ভাই টোটো করে কৃষ্ণনগরের উদ্দেশে বেরিয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বামনডাঙা হাটের কাছে একটি পাথরবোঝাই লরি টোটোটিকে পিষে দেয়।”