—প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছিলেন স্বামী। গন্তব্য স্টেশনে ট্রেন ঢুকলে স্ত্রীকে নামিয়েও দেন। তার পরেই স্টেশন থেকে উধাও সেই শিক্ষক স্বামী! ঠিক তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল স্ত্রীর। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার মির্জাপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার নাম ফারজানা খাতুন (২৬)। প্রাথমিক ভাবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, যোনিপখে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন ফারজানার বাপের বাড়ির লোকেরা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের ডোবাপাড়ার বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষক নিরাবুল হকের সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় মির্জাপুরের ফারজানার। চাকরির সূত্রে হুগলি শ্রীরামপুরে থাকেন নিরাবুল। এমনকি বিয়ের পরেও। হঠাৎ গত সপ্তাহে ফারজানাকে তাঁর বাপের বাড়ি থেকে শ্রীরামপুরে নিয়ে যান নিরাবুল। পরিবারের দাবি, তার পর থেকেই তাঁদের সঙ্গে আর ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। অন্য আত্মীয়দের মারফত তাঁদের খবর নিতে হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ ফারজানা ফোন করে তাঁর বাবাকে জানান, বেলডাঙা স্টেশনে কিছু ক্ষণের মধ্যে তিনি পৌঁছবেন। তা শুনেই স্টেশনে চলে যান ফারজানার ছোট বোন। অভিযোগ, ট্রেন স্টেশনে পৌঁছতেই ফারজানাকে স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে উধাও হয়ে যান নিরাবুল। বার কয়েক ফোন করেও সাড়া মেলেনি তাঁর। পরে দুই বোন মির্জাপুরের বাড়িতে চলে যান। সেখানে পৌঁছনোর পরেই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন ফারজানা। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এই ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে বিষ দিয়ে মেয়েকে খুনের অভিযোগ তুলেছে ফারজানার পরিবার। মৃতার বাবা কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘সুস্থ-সবল মেয়ে। কোনও দিন কোনও অসুস্থতা ছিল না। জামাই নিশ্চয়ই খাবারের সঙ্গে কিছু খাইয়ে ওকে ফেলে রেখে পালিয়েছে। এই খুনের যথাযথ তদন্ত হোক।’’ তার প্রেক্ষিতে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্ত পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’