ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। — ফাইল চিত্র।
রেজিনগরের অশান্তির পিছনে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের যোগ আছে বলে বর্ধমান জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে যে মন্তব্য করছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্তী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওই প্রসঙ্গ নিয়ে প্রকাশ্য সভায় একটিও শব্দ খরচ করেননি ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন। বৃহস্পতিবার ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের সালারের একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে ২১ জুলাই শহিদ দিবসে প্রস্তুতি সভা হয়। ওই সভায় হুমায়ুন ওই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।ওই সভায় বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় নেতৃত্বরা ছাড়াও দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি আনারুল ইসলাম হাজির ছিলেন।
শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, ‘আমার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরেছে।’ ওই প্রসঙ্গ টেনে এ দিন হুমায়ুন বলেন, “ক্ষমতা থাকে তো শুভেন্দু অধিকারী নিজের বাবা শিশির অধিকারীকে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসিয়ে দেখাক। আমাদের নেত্রী লড়াই সংগ্রাম করে ক্ষমতা দখল করেছে। ৪৪ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন আমাদের নেত্রী। ক্ষমতা থাকলে সরিয়ে দেখাক শুভেন্দু অধিকারী।”
তবে ওই দিনের দলের কর্মীদের চাঙ্গা করতে গিয়ে হুমায়ুন বলেন রাজনীতি করতে গেলে অনেক কিছুই হয়। সেগুলির সঙ্গে লড়াই করেই উপরের দিকে উঠতে হয় বলে দাবি করে হুমায়ুন বলেন, “রাজনীতিতে একে অপরকে পিছনে টেনে ধরার একটা প্রবণতা সব সময় থাকে। দুঃখের সঙ্গে হলেও বলতে হচ্ছে আমাদের জেলাতে আমাদের দলেও এমন লোকের অভাব নেই।”
হুমায়ুন বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আমাদের নেত্রী যে ভাবে দোষারোপ করেছেন সেই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু একটা দিন আসবে আমার বিরুদ্ধে ওঠা ওই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হবেই হবে।”
ওই দিনের সভা থেকে দলের কর্মীদের নির্দেশ দেন শহিদ দিবসের আগের দিন ট্রেনে কলকাতায় পৌঁছে যেতে হবে। তা ছাড়াও ভরতপুর ১ ব্লকের কর্মীদের জন্য ১০টি ও ভরতপুর ২ ব্লকের জন্য ১৫টি লাক্সারি বাসের ব্যবস্থা হিমায়ুন নিজেই করবেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, “ওই বাস বর্ধমান হয়ে কনভয় করে সভাস্থলে পৌঁছবে। এবং ওই বাসের সমস্ত খরচ আমি ব্যক্তিগত ভাবে বহন করব।” ওই সভায় দলের জেলার যুব সভাপতি আনারুল ইসলাম বলেন, “জেলার মধ্যে ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে যে পরিমাণ দলের নেতা ও কর্মী ওই সভায় হাজির হবে সেটা জেলার মধ্যে নজির গড়বে।”